বন্যায় দেশের ১২ জেলায় শিশু ও গোখাদ্যের তীব্র সংকট

যমুনা নদীর পানি বেড়ে ফের প্লাবিত হয়েছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। বন্যা আক্রান্ত ২৮ জেলার মধ্যে ১২টিতে শিশু ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সংকট মোকাবেলায় সরকার বিশেষ বরাদ্দ দিলেও তিন দিনেও তা মাঠপর্যায়ে পৌঁছেনি। আবার যেটুকু বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান বন্যায় দেশের ১২ জেলায় শিশু ও গোখাদ্যের সংকট তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গোখাদ্যের সংকট প্রকট। এই জেলাগুলোতে শিশুখাদ্য ও গোখাদ্যের জন্য ১৬ লাখ টাকা করে মোট ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলাগুলো হলো টাঙ্গাইল, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার। জেলাগুলোতে শিশুখাদ্য হিসেবে খেজুর, বিস্কুট, ফর্টিফাইড তেল, ব্রাউন চিনি, সুজি, মসুর ডাল, ফর্টিফাইড চাল, ওয়াটার পিউরিফাইড ট্যাবলেট, বাদাম ও রেডিমেড ফুড স্থানীয়ভাবে কিনে বিতরণ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি গোখাদ্য হিসেবে ভুসি, খৈল, চালের কুড়া, চিটাগুড় ও খড় স্থানীয়ভাবে কিনে তা বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা হিসাব করে জেলাভিত্তিক সর্বনিম্ন এক লাখ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক (ত্রাণ) ইফতেখারুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় শিশু ও গোখাদ্যের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তা পৌঁছানো হবে। বগুড়া থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, বন্যার পানিতে বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় জেলার শত শত গৃহস্থ পরিবার গবাদিপশু নিয়ে সংকটে পড়েছে। বিশেষ করে সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সোনাতলা উপজেলার খামারি ও কৃষকরা কোরবানির হাটের জন্য লালন-পালন করা গরু আগেভাগেই বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ একে তো বন্যার পানিতে গরু রাখার জায়গা নেই। তার ওপর গোখাদ্যের তীব্র সংকট। তবে গতকাল পর্যন্ত জেলায় সরকারি পর্যায়ে বরাদ্দ হওয়া গোখাদ্য বিতরণ শুরু হয়নি।