কবিতা

কবিতাঃ বগুড়া কলেজ ট্রেন – মাহামুদুল হাসান মহাব্বত

ট্রেনের বগিতে ঠেলাঠেলি,
চিপাচিপিতে মানুষের ভিড়াভিড়ি।

কারো লক্ষ্য কর্মস্থল,
কারো বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,

কারো ভিক্ষাবৃত্তি
কেউবা দিনমজুর।

রোজ রোজ ছুটে চলে আপন মনে,
এক স্টেশন হতে আরেক স্টেশনে,
কেউবা নিদিষ্ট গন্তব্যস্থলে।

মাঝে মাঝে অতি ভদ্র, স্মার্ট
আর সরকারি চাকুরে,
মুখে মাস্ক লাগিয়ে।

এই ট্রেনেরি পরিচিত মুখ,
যখন অন্ধ #ধলু ভাই…

স্ত্রীর বিচ্ছেদে গান গেয়ে,
তখন দৈনিক টাকা পায়।

আবার এই ট্রেনেরি উজ্বল মুখ
অন্ধ #মফিদুল ভাই,
বাড়ি সুখানপুকুরের তেলিহাটায়।

ভিক্ষাবৃত্তি নয়,
বরং মোবাইল কার্ড আর বইয়ের ব্যবসায়।

এই ট্রেনেরি পরিচিত এক #বৃদ্ধা,
বয়স অনেক হলেও করছে কচুর ব্যবসা,

সেই সকাল সাঝে…
ভেলুরপাড়া টু বগুড়া।

প্রত্যেক বগিতে #রিক্সাওয়ালাদের ভিড়াভিড়ি,
দরজায় কাছে সেকেন্ডে সেকেন্ডে ঠেলাঠেলি।

অনেক #স্টুডেন্টও যাই,
বগুড়ার অনেক কলেজে,

সিএনজি ভাড়া ৩৫,৪০,৫০,৬০ টাকা বাচিয়ে,
কলেজ ট্রেনে মাত্র ৬ টাকা দিয়ে।

হাজারো লোকের ভিড়ে,
টিটিরা এক পা এক পা করে এগিয়ে,

শত শত টিকিট কিনছে মিজানুর, মতিন
আংকেলের হাত থেকে।

ট্রেন চলেছে ধীরগতিতে,
শেষ গন্তব্যস্থল সান্তাহারে।

আমিও যাই ২নম্বর বগিতে,
সপ্তাহে ৩দিন বগুড়াতে।
অনেক ঠেলা ঘুতা সহ্য করে,
সুখানপুকুর থেকে বগুড়াতে।

Back to top button