প্রয়োজনীয় তথ্যসারাদেশ

বাংলাদেশে পঙ্গপালের আক্রমণ?

কক্সবাজারের টেকনাফে আক্রমণ করা পতঙ্গ পঙ্গপাল নয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এটির সাথে ভারতে আক্রমণ করতে যাওয়া ডেজার্ট লোকাস্টের কোন মিল নেই। এটি সাধারণ একটি ক্ষতিকর পোকা। অবশ্য কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক রুহুল আমিনের মতে, এটিও এক ধরনের লুকাস্ট বা পঙ্গপাল, তবে এটি আফ্রিকান নয়।

এপ্রিল মাস জুরে টেকনাফের বেশ কিছু জায়গায় এক ধরনের ক্ষতিকর পোকা দেখা গেছে। যা গাছের কচি পাতা খেয়ে ফেলছে। যার কারণে উদ্ধিগ্ন স্থানীয়রা। টেকনাফ জুরে যে পতঙ্গের আক্রমণ দেখা দিয়েছে তা আফ্রিকা থেকে উৎপন্ন পঙ্গপাল নয়। যা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রস্ততি নিচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে এটি পঙ্গপাল নয়। এটি ক্ষতিকারক পোকা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ জানান, বাংলাদেশে এখনো পঙ্গপাল দেখা যায়নি। তবে টেকনাফের যে গ্রামে এই ক্ষতিকারক পোকা দেখা দিয়েছে তা কিছু মুষ্টিমেয় বনজ গাছের মধ্যে তারা পাতা খাচ্ছে। সেখানে আমাদের ডেপুটি ডিটেক্টর গিয়েছে এবং কীটনাশক স্প্রে করেছে। আর তাতে ভালো ফল পেয়েছে বলে জানিয়েছেন।

জানা গেছে কক্সবাজারের টেকনাফে যে পতঙ্গ দেখা গিয়েছে তা কফি গাছে দেখা যায়। আরেকদল বিজ্ঞানী বলছেন এই পতঙ্গ বহু জীবী উদ্ভিদের পাতা খেয়ে থাকে। এটা পঙ্গপালের একটি জাত। এগুলো মায়ানমারের কিছু জায়গায়, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়াতে দেখা যায়।

কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক রুহুল আমিন বলেন, লুকাস্টের অনেকগুলো জাত আছে। বাংলাদেশে এটা আগে থেকেই আছে। কিন্ত মাইগ্রেটরি না এটা। তবে এখন যেটা দেখা যাচ্ছে এটা এর আগে দেখা যায়নি। আমাদের কাছে এমন রেকর্ড নেই।তাই বলা যায় বাইরে থেকেই এসেছে এটি। আর এরা যদি বংশবিস্তার করে তাহলে এরা আরো অনেক গাছের ক্ষতি করবে। যেহেতু এরা বহু জীবী উদ্ভিদের পাতা খায়।

আফ্রিকান পঙ্গপালের খবর রাখছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। আর টেকনাফের পোকা দমনে কীটনাশক স্প্রে করে পাওয়া গেছে সফলতা।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশে এর আগে কখনো পঙ্গপাল বা লুকাসের আগমন দেখা যায়নি। এদেরকে মরুভূমি বা বালির মধ্যে দেখা যায়। আর টেকনাফের যে পতঙ্গ দেখা দিয়েছে সেখানে আমাদের কৃষি অফিসাররা গিয়েছিল এবং স্প্রে করার মধ্যে ভালো সফলতা পেয়েছে। তবে আমরা চূড়ান্ত একটি তথ্যা দেবার জন্য অপেক্ষা করছি।

বাংলাদেশে কখনো পঙ্গপাল আক্রমণ করেনি দাবি করে কীটতত্ত্ববিদ ও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন পঙ্গপালও দমন করা যায় আতঙ্ক হবার কিছু নেই।

সিয়াম সাদিক/বগুড়া লাইভ

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button