শ্রমিক ছাঁটাই না করার জন্য বিজিএমইএ-কে মন্ত্রণালয়ের চিঠি
মহামারী করোনা ভাইরাসের এ পরিস্থিতিতে গার্মেন্টস কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই এবং কারখানা লে-অফ (সাময়িক বন্ধ) না করতে পোশাক শিল্প মালিকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই)। একই চিঠি প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও পাঠানো হয়েছে।
মালিকপক্ষ বলছেন, শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অধিকার তাদের রয়েছে।
করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই ও লে অফ শুরু হয়। এ বিষয় নিয়ে শ্রম অসন্তোষও দেখা দেয়। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দিতে কারখানা মালিক ও শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে আপাতত শ্রমিক ছাঁটাই ও লে অফ না করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ এর সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ক্রয়াদেশ কমতে থাকায় কারখানাগুলোকে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের দিকে যেতে হবে। তাই এমন পরিস্থিতিতে ডিআইএফই চিঠি পাঠিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতিকে।
ডিআইএফই’র মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় বলেন, একটি সংগঠনের প্রধান হিসেবে বিজিএমইএ সভাপতির এই ঘোষণা দেওয়া ঠিক হয়নি। শ্রমিক ছাঁটাই হলে শ্রমিকের জীবনযাপনে অনেক সংকটপূর্ণ হতে পারে। প্রতিদিনই বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন এ বিষয়ে চিঠি আসে আমাদের কাছে।
তিনি আরও বলেন, প্রণোদনার অর্থ দিয়েই তো জুন মাসের বেতন দেওয়া হচ্ছে তাহলে এখন আবার ছাঁটাই করার কথা বলা হচ্ছে তাহলে শ্রমিকরা যাবে কোথায়? তিনি বলেন, এসব বিষয়ে আলোচনা করার জন্য তাদের ডাকা হলেও তারা বিষয়টি এড়িয়ে গেছে।
ডিআইএফই’র এমন চিঠির সঙ্গে একমত নন পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, শ্রম আইনের ২০ ধারায় উল্লেখ করা আছে কাজের অতিরিক্ত শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে। এখন যারা ছাঁটাই না করার জন্য বলছেন, তারা শ্রম আইনকে অস্বীকার করছেন।