মহামারি করোনার ভাইরাসে বিপর্যস্ত ভারত, শনাক্তে ২ নম্বর

মহামারি করোনার ভাইরাসে বিপর্যস্ত ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯০ হাজার কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের পর করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক থেকে ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে গেছে দেশটি।
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে শনাক্ত রোগীর দিক থেকে দ্বিতীয়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ৪২ লাখ ৪ হাজার ৬১৩ জন। ভারতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭১ হাজার ৬৪২ জনের, বিশ্বে যা তৃতীয়।
ভারতের পাঁচটি রাজ্যেই মূলত এসব সংক্রমণের ঘটনা বেশি ঘটেছে। দেশটির সরকার যখন অর্থনীতি সচল করতে বিধিনিষেধ শিথিল করতে শুরু করেছে, তখন দেশটিতে সংক্রমণের হারও বাড়তে শুরু করেছে। গত মার্চ মাস থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ভারতে লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে।গত সাতদিন ধরেই ভারতে নতুন রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন প্রায় ৭৫ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। নতুন রোগীদের ৬০ শতাংশের বেশি এসেছে অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং উত্তর প্রদেশ থেকে, যেসব রাজ্যে জন ঘনত্ব বেশি।এছাড়া রাজধানী দিল্লিতেও নতুন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার শুধু দিল্লিতে ২৭০০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতেও কোভিড-১৯ রোগীদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এমনকি আন্দামান দ্বীপের প্রত্যন্ত একটি দ্বীপেও ভাইরাসের বিস্তার দেখা গেছে। গত মাসে এই দ্বীপের দশ জন বাসিন্দার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।পরীক্ষার বৃদ্ধির কারণে নতুন রোগী শনাক্ত হারও বাড়ছে। এখন ভারত জুড়ে প্রতিদিন ১০ লাখের বেশি পরীক্ষা করা হচ্ছে। যদিও এই রোগে আক্রান্তের তুলনায় ভারতে মৃত্যুর হার কম, তারপরেও গত সাতদিন ধরে প্রতিদিন দেশটিতে অন্তত এক হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।বিশ লাখের বেশি রোগী নিয়ে গত অগাস্ট মাসে বিশ্বে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসে ভারত। সংক্রমণ ঠেকাতে গত মার্চ মাস থেকে লকডাউন কার্যকর করেছিল ভারত, যখন দেশটিতে মাত্র কয়েকশো রোগী শনাক্ত হয়েছিল।তবে সংক্রমণ অব্যাহত থাকলেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল করার জন্য জুন মাস থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। মহামারি এবং লকডাউনের কারণে দেশটির অর্থনীতি প্রথম প্রান্তিকে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা