বগুড়ায় হেমন্তের প্রাণ গ্রাম বাংলার প্রাণের উৎসব নবান্ন মেতে উঠেছে

এ উৎসবে মেতেছে বগুড়ার গ্রামগুলো। নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে কৃষকের বাড়ির উঠান। আনন্দধারায় ভাসছে কৃষকের মন-প্রাণ। কৃষাণিরাও ব্যস্ত ঢেঁকিতে ধান ভানা আটা তৈরিতে। নতুন ধানের আটায় বানানো হবে পিঠা,পুলি পায়েস। বাড়িতে বাড়িতে মেয়ে জামাইসহ আমন্ত্রিত হবে আত্মীয় স্বজন।
গ্রাম বাংলার এমন উৎসব শহরের মানুষের অনেকের অজানা। আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব, নগরমুখিতা আর আকাশ সংস্কৃতির কেড়ে নিচ্ছে উৎসবটি। ঢেঁকির তালে তালে মুখরিত বাড়ির আঙিনা।
ধান ভানা আর আটা কোটার গীতে বিমোহিত বাড়ির সবাই। কৃষাণির আনন্দধারায় নবান্নের প্রস্তুতি। ঢেঁকিতে ধান ভেনে আটা করা, আর সেই আটা দিয়েই তৈরি হবে পিঠা পুলি, পায়েস। আমন্ত্রিত হবে আত্মীয় স্বজন। সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া এবং খোশগল্পে মেতে উঠবে দিনটিতে।
দিনটিকে ঘিরে আনন্দের মাত্রা বেড়ে যায় গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের মধ্যে। আত্মীয় স্বজনদের সাথে আনন্দ করে ঘুরে বেড়ানো, গ্রাম্য মেলায় দল বেঁধে যাওয়া, খাবার খাওয়া সব মিলে আনন্দের সীমা থাকে না এই দিনটিকে ঘিরে।
নতুন ধানের পায়েস দিয়ে গ্রামের সবাই নবান্নের সাধ নেন। সেই সাথে উঠানে চলে এলাকা ভিত্তিক নাচ, গান গীত। নারী পুরুষ সবাই অংশ নেয় এই অনুষ্ঠানে। বৈশাখী উৎসবের মতো সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে প্রায় হারিয়ে যাওয়া বাংলা সংস্কৃতির নবান্ন উৎসবটি আবারও ফিরানো সম্ভব বরে মনে করেন এই সাংস্কৃতিক কর্মী তৌফিক হাসান ময়না।
বগুড়া নবান্ন উৎসব উপলক্ষে বসে মাছের মেলা। প্রতি বছর জেলার ১২টি উপজেলার ৩০টি স্থানে গ্রামীণ মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।