‘পুলিশ নিরাপত্তা বিল’ চালুর বিরুদ্ধে ফ্রান্সে ধরনের বিক্ষোভ
‘পুলিশ নিরাপত্তা বিল’ চালুর বিরুদ্ধে ফ্রান্সের প্যারিস সহ বিভিন্ন শহরে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।
শনিবার লক্ষ লক্ষ বিক্ষোভকারী প্যারিসে জড়ো হয়। এই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা পাথর ও আতশবাজি ছোঁড়ার পরে সংঘর্ষ শুরু হয়।
বিক্ষোভকারীরা একটি গাড়ি এবং খবরের কাগজ দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ এবং ২০ জন পুলিশ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
নতুন বিলটিতে বলা হয়েছে পুলিশের খারাপ কাজ করার ছবি তোলা বা ভিডিও করলে সেটাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
বিক্ষোভকারীরা বলছে, এই নতুন বিলে পুলিশের বর্বরতাকে উসকে দেওয়ার জন্য সংবাদত্রের স্বাধীনতা হ্রাস করা হয়েছে।
তবে ফ্রান্স সরকার বলছে, এই বিলের মাধ্যেমে ফ্রান্সের জনগণকে অনলাইন অপব্যবহার থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে।
শনিবার প্যারিস, বোর্দো, লিলে, মন্টপেলিয়ার এবং ন্যান্টেসসহ ৭০টি শহরে জনগণ নুতন এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
গত শুক্রবার ফ্রান্সে কৃষ্ণাঙ্গ এক সংগীত প্রযোজককে বেধড়ক মারধর এবং বর্ণবাদী আচরণের কারণে আটক করা হয়েছে চার পুলিশ কর্মকর্তাকে। তাদের এমন বর্বরোচিত আচরণে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে দেশটির সব মহল।
সম্প্রতি লুপসাইডার নামে একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ফরাসি পুলিশ কর্মকর্তারা মাইকেল জেকলার নামে ওই সংগীত প্রযোজককে কয়েক মিনিট ধরে মারধর করছেন এবং বারবার বর্ণবাদী গালি দিচ্ছেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, এ ঘটনা ছিল ‘অগ্রহণযোগ্য আক্রমণ’। এটি ‘সবার জন্য লজ্জাজনক’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ফ্রান্স কখনোই ঘৃণা বা বর্ণবাদের বিস্তার মেনে নেবে না।