নিশা’র নিজ হাতে লিখা প্রথম আলো পত্রিকা
ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিলো প্রথম আলো নিজ হাতে লিখার!!
নুরানী ইসলাম নিশা। বর্তমানে বগুড়া সরকারী আযিযুল হক কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্রী। এ বছর বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়ে উর্ত্তীর্ন হয়েছেন তিনি। শখ বড় হয়ে একজন ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করা।
নুরানী ইসলাম নিশা বগুড়া শহরের মালতিনগর এলাকার নজরুল ইসলামের খানের মেয়ে।
নিশা অবসরে ছবি আঁকতে পছন্দ করেন। করোনাকালীন সময়ে বগুড়া জিলা স্কুল এবং বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক গ্রুপে হাতের লিখা প্রতিযোগিতায় সবার লিখা দেখেই তার ইচ্ছে জাগে এমন শৈল্পিক কার্যক্রমের। আর সেই ইচ্ছা থেকেই গত ২৭ নভেম্বর রাতে লিখা শুরু করেন তিনি।
পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে তিনি দুই দিন ধরে এই এক পৃষ্ঠাটি লিখেন যা সবার কাছেই এক অভাবনীয় সুন্দর কারুকার্য বলে ইতিমধ্যেই স্বীকৃতি পেয়েছে।
নিশার বাবা নজরুল ইসলাম খান বলেন,ছোট বেলায় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আগে মেয়ের হাতের লিখা দেখেই কোচিং এ একবারেই ভর্তি করে নিয়েছিল।আজ সেই কথাটি অনেক মনে পড়ছে। আমি সত্যিই অভিভূত মেয়ের এমন সুন্দর কাজ দেখে।
নুরানী ইসলাম নিশা বলেন, ছোট বেলা থেকেই বাসায় সব সময় প্রথম আলো পত্রিকা দেখতাম। সেই থেকেই মনে একটি ইচ্ছা ছিলো যে একদিন এভাবে আমি হাতে লিখবো।হঠাৎ করেই প্রতিযোগিতায় সবার লিখা ও তা নিয়ে বিভিন্ন কারুকার্য দেখে মনে হইলো আমি প্রথম আলো হাত দিয়ে লিখবো আর দুইদিনেই পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে তা লিখে ফেলেছি।