বগুড়ায় করোনার ২য় ঢেউ ঠেকাতে বাজার স্থানান্তর

বগুড়ায় করোনার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। করোনার ব্যাপকতা ঠেকাতে শহরের রাজাবাজার ও ফতেহ আলীর খুচরা ও কাঁচা বাজারের দোকানগুলো শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে ২য় বারের মত স্থানান্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দোকানগুলো বসতে শুরু করেছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানা যায়, জেলা শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত জেলায় করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৩৬৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৪৮০জন। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২১৮ জনের এবং বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন ৬৬৫জন।
বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) সালাউদ্দিন আহম্মেদ জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক সভায় ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতেই রাজাবাজার ও ফতেহ আলী বাজারের খুচরা ও কাঁচা বাজার স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে বাজার স্থানান্তর করে যদি স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করা যায় তবে করোনার প্রকোপ ঠেকানো সম্ভব হতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি মানলে করোনা ভাইরাসকে আটকানো যাবে নইলে করোনায় আক্রান্তের হার আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
বগুড়া রাজাবাজার আড়ৎদার ও ব্যবসায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ জানান, আমরা রাজাবাজার ও ফতেহ আলী বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছি।
আজ শুক্রবার থেকে বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ দোকান গুলো বসতে শুরু করেছে। দু একদিনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব দোকানগুলো বসবে। সাধারণ মানুষ তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
করোনার ২য় ঢেউ ঠেকাতে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে কাঁচা বাজারের দোকান নিয়ে বসেছেন রফিকুল ইসলাম, তিনি ফতেহ আলী বাজারের ব্যবসায়ী। তিনি জানান, আগের মত ব্যবসা এখানে হওয়া কঠিন কারণ শহরের মানুষ সবাই যদি না জানতে পারে তাহলে বেচা বিক্রি হবে কিভাবে।
এদিকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার স্থানান্তরের বিষয়টি সকলকে অবগত করতে মাইকিং করা হচ্ছে। এবছরের ১৩ এপ্রিল বগুড়া শহরে করোনার প্রকোপ ঠেকাতে ১ম বারের মত রাজাবাজার ও ফতেহ আলী বাজারের খুচরা ও কাঁচা বাজার স্থানান্তর করা হয়েছিল আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে।