স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা ১৫ ও ২১ আগষ্ট হামলা চালিয়েছিল: শফিক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক বলেছেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা ১৫ আগষ্ট ও ২১ আগষ্ট হামলা চালিয়েছিল। হামলাকারীরা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতেই এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু সকলকে বাধাকে অতিক্রম করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। বাংলাদেশে এখনও পাকিস্তানি শাসকদের দোসররা রয়েছেন। তারা এখনও নানা ভাবে দেশের মাঝে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। তারাই ১৭ আগষ্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল। তারা জানান দিতে চেয়েছিল নিজেদের। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশের সকল স্থানের দেশ বিরোধী অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে যাচ্ছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও শোষকদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই শোষকরা আবারও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে জঘন্য অধ্যায় সৃষ্টি করেছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেসময় তার ছোট বোন শেখ রেহেনাকে নিয়ে জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন। তাই তাদের সেদিন হত্যাকারীরা হত্যা করতে পারেনি। শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন দেশপ্রেমিক, এদেশের মানুষকে ভালবাসতেন। তাই পাকিস্তানি কারাগারে ১৩ বছর তাকে কাটাতে হয়েছে। তারপরও তাক দমাতে পারেনি কেউ। তার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। আর শেখ হাসিনা স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। যারা একদিন বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলত, আজ তারাই বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলে আখ্যায়িত করছে বিশ্বমঞ্চে। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শেখ হাসিনা কাজ করছেন। ইতিহাস যেমন বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বলা যায় না, তেমনি এদেশের উন্নয়নের জোয়ার শেখ হাসিনার হাতধরেই হচ্ছে। সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার।
সোমবার (৩০ আগষ্ট) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ বগুড়া জেলা শাখা আয়োজিত ১৫ ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস, ১৭ই আগষ্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা ও ২১শে আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি ডা. মোস্তফা আলম নান্নুর সভাপতিত্বে আইএইচটি গ্যালারীতে স্মরণ সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে জুম এর মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডাঃ এস. এ. মালেক।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ এস এম মিল্লাত হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জুমের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী বগুড়া জেলা শাখার সদস্য এম এ বাসেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি অ্যাড. নরেশ মুখার্জি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডাঃ সামির হোসেন মিশু, বগুড়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেফাজত আরা মিরা, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ডালিয়া নাছরিন রিক্তা, বঙ্গবন্ধু পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সহ সভাপতি জিয়াউল হক বাবলা, বগুড় প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি আব্দুস সালাম বাবু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শফিক আমিন কাজল, বগুড়া জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম, বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম, বগুড়া শহর আওয়ামী লীগ নেতা সুপান্ত মল্লিক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু সাইদ সিদ্দিকী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজার রহমান তাজ, সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সামছুদ্দিন, খলিলুর রহমান, নাজিয়া আক্তার, গোলাম কুদ্দুস, প্রকাশ কুমার সাহা, ডাঃ গোপাল চন্দ্র কর্মকার, ডাঃ মাহবুবুর রহমান টুনু, ডাঃ ভুবন দেবনাথ, আতাউল ওসমান গনি, কাজী মিজানুর রহমান, তাজুল ইসলাম, আব্দুল হান্নান,হেমায়েত মোস্তফা, অ্যাড. আনোয়ার হোসেন পায়েল, আবু জাফর, মাহমুদুল বারী মান্নান, সজল শেখ, আনোয়ারুল হক, মামুনুর রশিদ মামুন, মাহবুবুর রহমান পয়েট, ফরিদুজ্জামান, দৌলতুজ্জামান সহ বঙ্গবন্ধু পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্মরণ সভা শেষে ১৫ ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস, ১৭ই আগষ্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা ও ২১শে আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলায় নিহতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।