সারাদেশ

মা-মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে ৩ জ্বীনের বাদশার যাবজ্জীবন

গুপ্তধন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে জামালপুর থেকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এনে মা-মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. আব্দুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। এই মামলা থেকে দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণাকালে আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গোসাইপুর গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে বেলাল হোসেন, একই গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে এমদাদুল হক ও শ্যামপুর পারবর্তীপুর গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে খাজা মিয়া। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন—গোবিন্দগঞ্জের সাতগাছি হাতিয়াদহ গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে আজিজুল ইসলাম ও সুন্দাইল গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আসাদুল ইসলাম। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহিবুল হক সরকার মোহন জানান, দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যে দিয়ে বিচারক কাজ শেষ হয়। আদালতে মা ও মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনাটি প্রমাণিত হওয়ায় তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগীেদের ক্ষতিপূরণ দিতে দণ্ডপ্রাপ্তদের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতের এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. সিদ্দিকুর রহমান রিপু উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানিয়েছেন।

রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে আদালত থেকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে বেলাল ও এমদাদুল গ্রেফতারের পর থেকে কারাগারে ছিলেন। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, জ্বীনের বাদশার পরিচয়ে গুপ্তধন দেয়ার কথা বলে মা ও মেয়ের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে আসামিরা। তারা বিভিন্ন সময় বিকাশের মাধ্যমে তাদের কাছে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর ২০১৮ সালের ১২ মে মা ও মেয়েকে গোবিন্দগঞ্জে ডেকে এনে তাদের কাছে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে গভীর রাতে করতোয়া নদীর চরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।

গোবিন্দগঞ্জ থানায় এসে ধর্ষণের শিকার মা বাী হয়ে অজ্ঞাত ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button