প্রধান খবরসোনাতলা উপজেলা

বগুড়ায় পূর্বে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হবার তর্কের জেরে কিশোর খুন

বগুড়ার সোনাতলায় কে আগে শারীরিক সম্পর্ক করবে এই নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে রাকিব হোসেন(১৫) কে হত্যা করে তার দুই বন্ধু। এ ঘটনায় জড়িত সেই বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বগুড়া।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের হিয়াতপুর এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে আহসান হাবীব ওরফে সজীব(২০), অপরজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক কিশোর। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

এর আগে ৩জুন বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার লাহিড়ীপাড়ার এক পাথার থেকে রাকিবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রাকিব হিয়াতপুর এলাকার শামসুল ইসলাম শেখের ছেলে।

রোববার বেলা ১১টায় বগুড়া পিবিআই পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন তার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরে জানান, নিহত রাকিব ও আসামী আহসান হাবীব একে অপরের বন্ধু। ৩১ মে আহসান হাবীব তার বন্ধু রাকিবকে জানায়, সে একজন মেয়েকে টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য উপজেলার চমড়গাছা পাথারে আসতে বলেছে। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে আহসান হাবীব তার বন্ধু রাকিবকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নেয় এবং সাথে আরো এক কিশোর যুক্ত হয়। লাহিড়ীপাড়া পাথারের মাঝখানে পৌঁছার পর সবার আগে কে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হবে এই নিয়ে রাকিব ও আহসান হাবীব এর মধ্যে তর্ক শুরু হয়। এই বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের কাছে থাকা লাঠি দিয়ে রাকিবের মাথায় ও ডান চোখের উপর আঘাত করে আহসান হাবীব।এরপর আহসান হাবীব রাকিবের গলা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে সে এবং তার সহযোগী কিশোরকে নিয়ে রাকিবের লাশ পাথারের ক্ষেতের মাঝখানে ডোবায় ফেলে দেয় এবং কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রেখে বাড়িতে চলে যায়। পরেরদিন স্থানীয়রা রাকিবের লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে রাকিবের লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, আসামী আহসান হাবীব ইতিপূর্বেও টাকার বিনিময়ে একাধিক মেয়েদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করত বলে জানিয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এসএ

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button