হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইসমাইল

মারা গেলেন র্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) এয়ার উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (৪৫)।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
র্যাব জানিয়েছে, মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৫ আগস্ট তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। পরদিন ৬ আগস্ট তার একটি সফল অস্ত্রোপচার হয়। ৭ আগস্ট তাকে নেওয়া হয় আইসিইউতে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
মঙ্গলবার ( ৯ জুলাই) দুপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, গত ২৭ জুলাই ঢাকার নবাবগঞ্জ এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণকালীন সময়ে একটি হেলিকপ্টার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে র্যাবের এয়ার উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। সেখান থেকেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় সিঙ্গাপুরে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, গত ৬ আগস্ট র্যাবের এয়ার উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের মেরুদণ্ডের সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। কিন্তু অন্যান্য শারীরিক জটিলতার কারণে তার অবস্থার অবনতি হয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
কমান্ডার মঈন বলেন, তার এই অকাল মৃত্যুতে র্যাব ফোর্সেসে কর্মরত সব সদস্য গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। তার মৃত্যুতে দেশ একজন অত্যন্ত দক্ষ পাইলট এবং চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে হারালো। তিনি বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের অকাল মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেনাবাহিনী প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইজিপি, র্যাব মহাপরিচালক ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।