ধুনট উপজেলাপ্রধান খবর

বগুড়ার যমুনা থেকে আটক ১৬ বালুদস্যূর ১ মাসের কারাদণ্ড

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীতে অভিযান চালিয়ে খননযন্ত্র দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ১৬ বালুদস্যূর ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার দুপুরের পর ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী বিচারক সঞ্জয় কুমার মহন্ত এ দন্ডাদেশ দেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয় বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ৫টি বাল্কহেড ও ১০টি শ্যালো মেশিন ।

দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো, উপজেলার কৈয়াগাড়ি গ্রামের অসিম উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৫২), রুহুল আমিনের ছেলে স্বপন মিয়া (২০), চুনিয়াপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে রাজু আহম্মেদ (২০), শহড়াবাড়ি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল মিয়া (১৯), আয়নাল হকের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩০), নূর মোহম্মাদের ছেলে আইয়ুব আলী (২৪), ভুলু সরকারের ছেলে হবিবর রহমান (৪০), গুয়াডহরী গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে সোহেল রানা (২০), শিমুলবাড়ি গ্রামের শাহ আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৫), রফিকুল ইসলামের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৫), বৈশাখী গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে আব্দুর রহিম (২০), আবুল কাসেমের ছেলে রাঙ্গা মিয়া (২৪), আব্দুস ছালামের ছেলে হারুনর রশিদ (২৬), গোসাইবাড়ি গ্রামের ভুট্টু মিয়ার ছেলে সৈকত হোসেন (২৬), সারিয়াকান্দি উপজেলার আওলাকান্দি গ্রামের তোফজ্জল হোসেনের ছেলে বুলবুল ইসলাম (২৪) ও পাবনার সাথিয়া উপজেলার বাবুপাড়ার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে বাবুল ইসলাম (৫০)।

জানা যায়, উপজেলায় যমুনা নদীর বৈশাখী চর এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে খননযন্ত্র দিয়ে অবৈভভাবে বালু উত্তোলনের পর বিক্রি করে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র। এতে চর এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে চরবাসির আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে যমুনা নদীতে অভিযান চালায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী বিচারক। সেখানে বালু উত্তোলনকালে খননযন্ত্র সহ ১৬ জনকে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রবিউল ইসলাম বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button