অবশেষে মুখ খুললেন মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা
২৯ দিন আত্মগোপনে থাকার পর খুলনার মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগমকে ফরিদপুরের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অবশেষে পুলিশের কাছে মুখ খুলেছেন তিনি। পুলিশের কাছে তিনি অপহরণের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে পুলিশের।
পুলিশ বলছে, রহিমা বেগমকে যখন উদ্ধার করা হয় তখন তার সঙ্গে একটি শপিং ব্যাগ পাওয়া যায়। ব্যাগে ওড়না, হিজাব, আয়নাসহ বিভিন্ন জিনিস পাওয়া গেছে। সাধারণত কেউ অপহরণের শিকার হলে এগুলো পাওয়ার কথা নয়।
আজ রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব বাংলাদেশ (পিবিআই) খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান।
তিনি জানান, গতকাল শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধারের পর থেকে কোনো কথাই বলছিলেন না তিনি। বেলা ১টার দিকে মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ চার মেয়ের মুখোমুখি করা হয় তাকে। এ সময় মেয়েরা মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে তিনি অপহৃত হয়েছিলেন বলে দাবি করেন। কান্নারত অবস্থায় মেয়েরা মাকে বলতে থাকেন, আমাদের ছেড়ে আর কোনোদিন কোথাও যাবে না! আমাদের জমি দরকার নেই। মাকে দরকার, তোমাকে দরকার!
পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, রহিমা বেগম আমাদের জানিয়েছেন, অপহরণের পর অজ্ঞাত স্থানে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জেরে কিবরিয়া, মহিউদ্দিনসহ কয়েকজন ব্যক্তি তার কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন এবং বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তাকে এক হাজার টাকা দিয়ে ছেড়ে দেন। রহিমা বেগমের দাবি, তিনি কোন জায়গায় আছেন তা বুঝতে পারছিলেন না। এক পর্যায়ে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর হয়ে পূর্ব পরিচিত ভাড়াটিয়ার ফরিদপুরের বাড়িতে যান। কিন্তু তার কাছে কোনো মোবাইল নম্বর না থাকায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।পুলিশ সুপার আরও বলেন, আমরা রহিমা বেগমের বক্তব্য খতিয়ে দেখছি। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী সবকিছু করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিকপাড়ার নিজ বাসা থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে গিয়ে রহিমা বেগম নিখোঁজ হন। সূত্র: বিডি২৪লাইভ