বগুড়ায় চাঁদার দাবিতে অপহরণ, ৬ যুবলীগ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
বগুড়ার শেরপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর স্বামীকে চাঁদার দাবিতে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারসহ ঘটনায় জড়িত ছয়জন যুবলীগ নেতাকর্মীকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের ছোনকা গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে মো. ফেরদৌস জামান মুকুল (৪৩), পাশের গোয়ালজানি গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে যুবলীগ কর্মী মো. আল আমিন (৩৪), ছোনকা গ্রামের মোকছেদ আলীল ছেলে মো. আব্দুস সাত্তার (৩০), শেরপুর শহরের নয়াপাড়া এলাকার এলু মিয়ার ছেলে এনামুল হক (৩০), শ্রীরামপুর পাড়ার সাজু মিয়া (৩২) ও মো. সবুজ (২৮)।
মঙ্গলবার ওই প্রার্থীর স্বামী ভুক্তভোগী আব্দুল হালীম মল্লিক বাদি হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ছয় যুবলীগ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮জন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, তার স্ত্রী সুইটি মল্লিক বগুড়ার জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে একজন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ছিলেন। ১৭ অক্টোবর ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। হালীম মল্লিক বেলা বারোটার দিকে শেরপুর শহরের ধুনটমোড় এলাকায় পৌঁছে কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এসময় যুবলীগ নেতা ফেরদৌস জামান মুকুলের নেতৃত্বে বেশকয়েকজন যুবলীগ নেতাকর্মী তার কাছে চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায় আটক হওয়া যুবলীগ নেতাকর্মীরা।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার এ প্রসঙ্গে বলেন, নারী প্রার্থীর স্বামীকে অপহরণ ও চাঁদাদাবির ঘটনায় থানায় মামলা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মামলার এজারহারভুক্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়ায় আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এসএ