খেলাধুলাফুটবল

জোড়া গোল দিয়ে ফ্রান্সকে জেতালেন তরুণ অধিনায়ক এমবাপ্পে

বিশ্বকাপের ফর্মটাই যেন জাতীয় দলে নিয়ে এলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, নেতৃত্বও বাধা হয়নি তার ছন্দে। সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে জেতালেন দলকে; নিজে করেছেন জোড়া গোল, করিয়েছেনও একটি। তার এমন পারফর্মেন্সে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে নেদার‍ল্যান্ডসকে উড়িয়ে দিয়েছে ফ্রান্স- জয়টা ৪-০ গোলে।

ম্যাচ শুরুর মাত্র ২ মিনিটের মাথাতেই গোল উৎসবে মাতে বিশ্বকাপের রানার্সআপ দলটি। গোল করেন গ্রিজমান। এমবাপ্পের মাপা পাস থেকে বক্সে বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে তা জালে জড়ান আতলেতিকো মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড এমবাপ্পে। দলকে এগিয়ে দেন ১-০ গোলে।

দ্বিতীয় গোলের দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হয়নি ফ্রান্সকে, এবার ফরাসিদের এগিয়ে দেন দায়ত উপমেকানো। অষ্টম মিনিটে গ্রিজমানের নেয়া শট নেদারল্যান্ডসের গোলরক্ষকের গায়ে লেগে ফিরে এলে ফিরতি শটে তা জালে জড়ান উপমেকানো।

অধিনায়ক হিসেবে প্রথম গোল পেতে এমবাপ্পেকে অপেক্ষা করতে হয় ২১ মিনিট। বক্সের ফাঁকায় বল পেয়ে ভুল করেননি ফরাসর কাপ্তান, ঠাণ্ডা মাথার প্লেসিং শটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন তিনি। ৩৬তম মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারত আরো, তবে ইব্রাহিমা কোনাতের হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ডাচ গোলরক্ষক ইয়াসপের সিলেসেন।

বেশির ভাগ সময় বল দখলে রেখে পাল্টা আক্রমণে উঠছিল সফরকারীরাও, কিন্তু সুবিধা করতে পারছিল না। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে টানা আক্রমণ চালিয়েও ফ্রান্সের রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে পারেনি ডাচরা। উল্টো ৭৮তম মিনিটে গোল খেতে খেতে বেঁচে যায় নেদারল্যান্ডস, সহন সুযোগ মিস করেন এমবাপ্পে।

তবে প্রায়শ্চিত্ত করতে ভুলেননি এমবাপ্পে, এর ১০ মিনিট পরই কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ফরাসি অধিনায়ক। বল পায়ে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। এই গোলে করিম বেনজেমাকে ছাপিয়ে ফ্রান্সের পঞ্চম সর্বোচ্চ গোল সংগ্রাহক বনে গেছেন তিনি, গোল সংখ্যা ৩৮।

শেষদিকে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পায় নেদারল্যান্ডস, যোগ করা সময়ে উপেমেকানোর হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মেমফিস ডিপাই। তার শট ঠেকিয়ে দেন ফ্রান্সের নতুন গোলরক্ষক মাইক মিয়াঁ। ফলে শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button