বগুড়ায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে বিক্রি হচ্ছে সিএনজি চালিত গ্যাস
বগুড়ায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে, জেলার শাজাহানপুর থানাধীন শাজাপুর এলাকায় ফটকি ব্রিজ সংলগ্ন, মুঞ্জুর মটরস সিএনজি পাম্প নামে, একটি পাম্পে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় গ্যাস বিক্রয় করতে দেখা গেছে।
১ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করেছে, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টা ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
১ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ থেকে সরকার সারা দেশে সব সিএনজি স্টেশনে প্রতিদিন বিদ্যুৎ উৎপাদনের পিক-আওয়ার অর্থাৎ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) জানিয়েছে, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টা ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। পেট্রোবাংলা বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সারা দেশে সিএনজি স্টেশনসমূহকে উল্লেখিত সময়সূচি অনুযায়ী বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ভিজিল্যান্স টিম নিয়মিত মনিটরিং করবে। সিদ্ধান্ত না মানলে সংশ্লিষ্ট সিএনজি স্টেশনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ গ্যাস আইন-২০১০ এর ৭(৩) উপধারা (গ) বিধান অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানাধীন শাজাপুর এলাকায় ফটকি ব্রিজ সংলগ্ন একটি সিএনজি পাম্পে, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাত ৮ টার সময় মুঞ্জুর মটরস নামে সেই গ্যাস পাম্পে সিএনজি চালিত গ্যাস বিক্রয় করা হচ্ছে। সেখানে থাকা ক্যাশ কাউন্টার পরিচালনাকারী শফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধায়নে এই গ্যাস বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, সংবাদ কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, পালাতে গিয়ে তিনি সংবাদকর্মীদের সামনে পড়ে বলেন, যে গাড়িতে গ্যাস দিয়েছি তিনি আমার চাচা হন, তাই তাকেই শুধু ২শ টাকার গ্যাস দিয়েছি, অন্য কাউকে গ্যাস দেই নাই ।
সিএনজিতে থাকা ড্রাইভার কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমার সাথে ব্যক্তিগত কোন সম্পর্ক নেই, এখানে তো প্রতিনিয়তই চুরি করেই গ্যাস দিয়ে থাকেন উনারা, তবে আমি ২শ টাকার গ্যাস নিয়েছি কিন্তু আমার টাকা দিতে হয়েছে ২শ ৫০ টাকা, প্রয়োজন তাই আমরা বাধ্য হয়েই গ্যাস নিয়ে থাকি ।
বিষয়টি সম্পর্কে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানী লিমিটেড (পিজিসিএল) এর ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী. অনুপ কুমার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত বগুড়ায় অবস্থিত সকল সি এন জি পাম্প গুলোতে যাতে যানবাহনে সিএনজি প্রদান না করা হয় এই মর্মে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে, তারা যদি সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সরকার ঘোষিত বন্ধ সময়ে যানবাহনে গ্যাস প্রদান করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এআর