বগুড়া থেকে নিখোঁজ এক পরিবারের ৭ জন রাঙ্গামাটি থেকে উদ্ধার
বগুড়া থেকে নিখোঁজ এক পরিবারের ৭ জনকে রাঙ্গামাটি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সদস্যরা।
গতকাল সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে রাঙ্গামাটি শহরের চেয়ারম্যানপাড়া এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান পিবিআই বগুড়ার পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) জাহিদ হাসান।
তবে উদ্ধার হওয়া সাতজনকে কেউ অপহরণ করেনি। তারা কাজের সন্ধানে স্বেচ্ছায় সেখানে যান এবং পূর্বপরিচিত একজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে কাজের সন্ধান করছিলেন।
উদ্ধার হওয়া সাতজন হলেন- ফাতেমা বেবি (৫০) তার ছেলে বিক্রম আলী (১৩) মেয়ে রুনা খাতুন (১৬), বড় মেয়ে রুমি বেগম (৩০), নাতনী বৃষ্টি খাতুন(১৩) এবং জমজ দুই নাতী হাসান(৬) ও হোসেন (৬)।
উদ্ধার হওয়ার পর ফাতেমা বেবি জানান, তাদের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার খোচাবাড়ি এলাকায়। তারা সবাই বগুড়া শহরের নারুলীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ফাতেমা নারুলী পুলিশ ফাঁড়িতে রান্নার কাজ করতেন। তার বড় মেয়ের স্বামী জীবন মিয়া তাদের সঙ্গে বসবাস করে বগুড়া শহরে পুরাতন ফ্রিজ কেনাবেচার কাজ করতেন।
ফাতেমা আরো জানান, তার স্বামী আব্দুর রহমান কখনও বগুড়া শহরে আবার কখনও লালমনিরহাটে বসবাস করেন। তার স্বামী এবং মেয়ের স্বামী টাকার জন্য সব সময় তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতেন এবং মানসিক নির্যাতন করতেন।এ কারণে তারা নিজের আয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য কাউকে না জানিয়ে গত ৩ জুলাই বগুড়া থেকে পালিয়ে তাদের পূর্ব পরিচিত ফাতেমা বেগম নামের এক নারীর নানীর বাড়ি রাঙ্গামাটিতে আশ্রয় নেন। সেখানে তারা কাজের সন্ধান করছিলেন।
পুলিশ পরিদর্শক জাহিদ হাসান জানান, গত ৩ জুলাই বগুড়া শহরের নারুলী এলাকা থেকে একই পরিবারের সাতজন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় গত ৬ জুলাই বগুড়া সদর থানায় জিডি করেন ফাতেমা বেবির স্বামী আব্দুর রহমান।
জানা গেছে, পিবিআই বগুড়ার একটি দল রাঙ্গামাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে বগুড়ায় নেয়। তাদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।