কলেজ না পাওয়া শিক্ষার্থীরা যা করবেন

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির শেষ ধাপের ফলাফলেও কলেজ পাননি ১২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী, যাদের মধ্যে সাড়ে ৭০০ জন মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। গত শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতে একাদশ শ্রেণির ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে তৃতীয় ধাপের ফলাফল প্রকাশ হয়।
এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ফলাফল জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন, সবমিলিয়ে পাস করেছেন প্রায় পৌঁনে ১৭ লাখ শিক্ষার্থী; যাদের জন্য একাদশ শ্রেণিতে ২৫ লাখ আসন ছিল।
এরপরও শিক্ষার্থীদের আসন না পাওয়ার জন্য পছন্দক্রমে কেবল নামি কলেজ রাখাকে কারণ হিসেবে দেখছেন আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
তিনি বলেন, সব শিক্ষার্থীই পছন্দক্রমে ভালো ভালো কলেজ দিয়েছে। তারা নম্বরের বিষয়টি মাথায় রেখে কলেজ পছন্দ করলে এমনটা হতো না। কারণ, আমাদের তো আসন সংকট নেই।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১৬ লাখের বেশি শিক্ষার্থী পাস করেছেন। এর বিপরীতে কলেজে ভর্তিযোগ্য আসন রয়েছে ২৫ লাখের মতো। অর্থাৎ সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও ৮ লাখের বেশি আসন ফাঁকা থাকার কথা। এরপরেও শিক্ষার্থীদের ভর্তিবঞ্চিত হওয়ার কারণ পছন্দের কলেজ না পাওয়া।
জানা গেছে, তিন ধাপে নির্বাচিত এবং সফলভাবে নিশ্চায়ন করা শিক্ষার্থীদের আগামী ১৫ থেকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে ভর্তি হতে হবে। এরপর অনুষ্ঠানিকভাবে ৩০ জুলাই সারাদেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিবছর ভর্তিতে কলেজ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। আগে এসব শিক্ষার্থীকে সরাসরি আবেদন করতে বলা হলেও এ বছর আবার অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হবে।
অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, যারা কলেজ পায়নি তাদের ব্যাপারে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। তাদের আমরা আরেকটা সুযোগ দেব। তারা অনলাইনে আবেদনের সুযোগ পাবে।
উল্লেখ, চলতি বছর মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।