বগুড়ার ১২ থানাতেই কার্যক্রম শুরু
হামলা, ভাঙচুর ও প্রাণহানির পর বগুড়ায় বন্ধ হওয়া ১২ থানার সব কটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে মামলা ও সাধারণ ডায়েরি রেকর্ড করা শুরু হয়েছে। তবে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে থানাগুলো পুরোপুরি সচল করতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) জাকির হাসানের বরাতে জানা যায়, সাধারণ জনতার সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সদস্যদের তাঁদের কর্তব্য পালনে উজ্জীবিত করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘শিগগিরই পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে বগুড়া সদর থানায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়ায় পুরোদমে কার্যক্রম চালু করতে একটু সময় লাগবে।’
সচল হওয়া থানাগুলো হলো বগুড়া সদর, দুপচাঁচিয়া, শাজাহানপুর, গাবতলী, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, শিবগঞ্জ, আদমদীঘি, নন্দীগ্রাম, কাহালু, শেরপুর ও ধুনট থানা। সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাহারায় পুলিশ সদস্যরা এসব থানায় যোগ দেন।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর ৫ আগস্ট বগুড়া শহরে মিছিল থেকে সদর থানা—ফাঁড়ি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (সদর সার্কেল) কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় বগুড়া সদর থানা—পুলিশের সদস্যরা পুলিশ লাইনসে আশ্রয় নেন। চার দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল শনিবার এই থানার কার্যক্রম শুরু হয়। তবে সেটি আগের ভবনে নয়, কার্যক্রম চলছে পুলিশ সুপারের কার্যালয় চত্বরের ডিবি কার্যালয়ে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ জনান, গতকাল থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ ডায়েরি ও অভিযোগ গ্রহণ করছেন দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। শহরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ পুলিশিং কার্যক্রমও শুরু করা হয়েছে।
অন্যান্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও থানার কার্যক্রম চালুর কথা নিশ্চত করেছেন। শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, তাঁর থানায় হামলা কিংবা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তিনিসহ পুলিশের সদস্যরা থানাতেই ছিলেন। তবে কয়েক দিন থানার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। গতকাল মামলা কিংবা জিডি রেকর্ডসহ পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিক ইকবাল বলেন, তাঁর থানায় হামলা কিংবা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তিনিসহ পুলিশের সদস্যরা থানাতেই আছেন। তবে গত কয়েক দিন থানার প্রধান ফটক ও থানার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। গতকাল সকালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় সীমিত পরিসরে থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে মামলা, জিডি কিংবা অভিযোগ রেকর্ড করতে কেউ আসেননি।