জাতীয়

ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে চুক্তিগুলো বাতিল করা সহজ নয়: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে চুক্তিগুলো বাতিল করে দেয়া অত সহজ নয়। চুক্তিগুলো থেকে বের হয়ে আসাও অনেক ব্যয়বহুল। পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেছেন।

আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আদানিসহ বিভিন্ন গ্রুপের চুক্তিগুলো অসম চুক্তি। জ্বালানি ভোগ কমানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। বেসরকারি শিল্পগুলোকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে যাওয়ার কথা বলা হবে। জ্বালানিখাতের চুক্তিগুলো রিভিউ করার দরকার আছে।

তিনি আরও বলেন, কৃষি, অটোরিকশাসহ এগুলো সোলারের মাধ্যমে করা যায় কিনা দেখা দরকার।বাংলাদেশের সঙ্গে যে অসম চুক্তিগুলো হয়েছে এর জন্য অস্বাভাবিক ব্যয় বহন করতে হচ্ছে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. ম তামিম বলেন, ২৬ হাজার ৬শ’ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা। ২০৩০ সাল ৩০ হাজারে যাবে ১ হাজার সোলার, বাকিটা জীবাশ্ম জ্বালানি। ১২০০ বিলিয়ন ডলার পেনাল্টি দিতে হবে।নিউক্লিয়ার ৪০ বছর চলবে।

তিনি বলেন, বেইজড লোড ৭ হাজার মেগাওয়াট। তেলভিত্তিক নেই। গরমকালে আমাদের বেসলোড ১৩ হাজার মেগাওয়াট। সর্বোচ্চ চাহিদা ১৭ হাজার মেগাওয়াট।ক্যাপাসিটি পেমেন্ট দিয়ে যেতে হবে।

ড. ম তামিম বলেন, জেলাভিত্তিক চাহিদা অনুসারে ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমটা চিন্তা করে সাজাতে হবে। ফ্যান ও এস এর কারণে পাঁচ থেকে ছয় হাজার মেগাওয়াট বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। রাজনীতিবিদরা বিদ্যু’ সাশ্রয়ের ব্যাপারে বেশি আগ্রহী নয়।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৫ থেকে ৬ বছর পর বিদ্যুৎ খাত কেমন হবে সে বিষয়টি নিয়ে এখনই পরিকল্পনা করতে হবে। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button