বগুড়া জেলা
ট্রেন্ডিং

বগুড়ায় শ্রমিক নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ধর্মঘট, দোকান অগ্নিসংযোগ

বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়‌নের দুই নেতার ওপর হামলার প্রতিবা‌দে বগুড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও ভাঙচুর করেছে সংগঠনের অন্য নেতাকর্মীরা। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।


এর সকাল থে‌কে থে‌কে সকল রু‌টে পরিবহন চলাচল বন্ধ ক‌রে দেন শ্রমিকরা। ত‌বে বগুড়ার ওপর দি‌য়ে অন‌্য অঞ্চল থে‌কে আসা যানবাহনকে চলাচল করতে দিয়েছেন তারা।

পরে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহরের স্টেশন রোডে নারিকেল ব্যবসায়ীদের সাথে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের উদ্ভুত প‌রি‌স্থি‌তির সৃ‌ষ্টি হয়। এ সময় তা‌দের থামাতে গিয়ে বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা এবং সদস্য হযরত আলী আহত হন।

প‌রে স্থানীয়রা তা‌দের চি‌কিৎসার জন‌্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ( শজিমেক) হাসপাতালে ভ‌র্তি করান। বর্তমা‌নে তার সেখা‌নে চি‌কিৎসাধীন র‌য়ে‌ছেন।

এই হামলার জের ধরে বুধবার সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা শহরের চারমাথা, ঠনঠনিয়া, হাড্ডিপট্টি,স্টেশন রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় লাঠি সোটা নিয়ে সড়কে নেমে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেন।

এদিন শহরের স্টেশন রোডে ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ রাখেন। সকালে এই সড়কে পরিবহন শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। এক পর্যায়ে মিছিলে থাকা একাধিক নেতাকর্মী উত্তেজিত হয়ে স্টেশন রোডে বন্ধ রাখা নারিকেলের দুইটি আড়তে ভাংচুর চালি‌য়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় স্থানীয় সাংবাদিককের ওপর হামলা করে পরিবহন শ্রমিকরা। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, ওই দোকান দুইটি হামলার শিকার  শ্রমিক নেতা আনোয়ার হোসেন রানার। মানিক এবং রতন নামের দুই ব্যবসায়ী ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন।

এদিকে আকস্মিকভাবে পরিবহন  চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। বিশেষ করে ঢাকাগামী যাত্রীরা আগাম টিকিট সংগ্রহ করেও গন্তব্যে যেতে পারছিলেন না। তবে দুপুর থেকে স্বাভাবিক হয়ে যায়।

এসআর ট্রাভেলসের ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন জানান, ধর্মঘট তুলে নেয়া হয়েছে। বাস চলাচল শুরু করে দিচ্ছি আমরা।

এ বিষ‌য়ে বগুড়া জেলা বাস মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির দায়িত্ব প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল বারী এরশাদ বলেন, শ্রমিক নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে  বুধবার সকাল থেকে শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন যার কারনে বগুড়া থেকে সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। এখন ধর্মঘট তুলে নেয়া হয়েছে। পুর্ব ঘোষণা ছাড়া কর্মবিরতির কারনে যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,  উত্তরবঙ্গের অন্য জেলা থেকে ছেড়ে আসা দুর পাল্লার বাস গুলো চলাচলে শ্রমিকরা বাধা দেয়া হয়নি।

বগুড়া মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু বলেন, আমাদের শ্রমিক নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছি। এর কঠোর বিচার চাই। নইলে সংগঠন কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন বলেন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।
দুইজন পরিবহন শ্রমিক নেতার ওপর হামলার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতেই নারিকেল ব্যবসায়ী রতনকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button