
মাঠপর্যায়ের পুলিশের হাতে ভারি মারণাস্ত্র নয়, থাকবে আধুনিক রাইফেল জাতীয় প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র—এমনটাই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর মতো বিশেষায়িত ইউনিটের কাছে প্রয়োজনীয় ভারি অস্ত্র থাকবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এরপর র্যাব-১ কার্যালয়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “মাঠপর্যায়ের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র ব্যবস্থাপনায় নতুন কৌশল গ্রহণ করা হচ্ছে। থানার পুলিশ সদস্যদের হাতে থাকবে কার্যকর ও আধুনিক রাইফেল। তবে ভারি মারণাস্ত্র তাদের কাছে থাকবে না।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, “বিশেষায়িত বাহিনী যেমন এপিবিএনের কাছে নির্দিষ্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারি অস্ত্র বরাদ্দ থাকবে, যাতে তারা দ্রুত ও কার্যকরভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে।”
তিনি বলেন, “আইনের প্রয়োগে মানবাধিকার রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় বলপ্রয়োগ যেন না হয়, সে বিষয়েও আমরা সতর্ক।”
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সংঘবদ্ধ অপরাধ, মাদক, সন্ত্রাস ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। “জনগণের সহায়তায় আমরা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি,” বলেন উপদেষ্টা।
যানজট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সাধারণভাবে একটি দেশে রাস্তার পরিমাণ থাকা উচিত ২০ শতাংশ। কিন্তু আমাদের দেশে তা ৭ শতাংশও নয়। অন্যদিকে যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ছে। তাই যানজটের সমস্যা থাকবেই, তবে তা নিরসনে আমরা সচেষ্ট।”
সাম্প্রতিক ঈদের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দু-একটি চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ছাড়া বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দেশবাসী শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করেছেন।”
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “আগামীতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে এবং নিরাপদ, স্থিতিশীল সমাজ গঠনে সরকারের কার্যক্রম আরও জোরদার হবে।”