দিনে ৮ ঘণ্টা অফিসেই থাকেন? আপনার যে ৫ অভ্যাসে বাড়ছে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি

লন্ডনভিত্তিক চিকিৎসক কর্ণ রাজনের মতে, অফিসকেন্দ্রিক জীবনযাপন অনেক কর্মীর শরীরে ধীরে ধীরে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে দীর্ঘক্ষণ ডেস্কে কাজ, অনিয়মিত খাবার ও ঘুমের অভ্যাসই ঝুঁকিকে সবচেয়ে বেশি বাড়ায়।
১. দীর্ঘক্ষণ একভাবে বসে থাকা
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে ‘সিটিং ইজ দ্য নিউ স্মোকিং’। অফিসে ৬–৮ ঘণ্টা একটানা বসে থাকার ফলে শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ে। এর ফলে রক্তে শর্করা ভাঙতে ইনসুলিন কার্যকর হয় না এবং ধীরে ধীরে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
২. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
ব্যস্ততার চাপে অনেক কর্মী পুষ্টিকর খাবারের বদলে ফাস্টফুড, মিষ্টি বা অতিরিক্ত চিনি–সমৃদ্ধ পানীয় গ্রহণ করেন। এসব খাবারের অতিরিক্ত ক্যালোরি ও অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট ওজন বাড়ায় এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি করে।
৩. অনিয়মিত বা কম ঘুম
রাতে অফিসের কাজ করা, মোবাইল ব্যবহার বা মানসিক চাপের কারণে অনেকে পর্যাপ্ত ঘুম পান না। ৬–৭ ঘণ্টার কম ঘুম শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
৪. প্রাতরাশ বাদ দেওয়া
সময় বাঁচাতে বা তাড়াহুড়োয় অনেকেই প্রাতরাশ না করে অফিসে যান। দীর্ঘ সময় পেট খালি থাকলে ইনসুলিনের কাজ ব্যাহত হয়, রক্তে শর্করা বেড়ে যায় এবং দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা তৈরি হয়।
৫. অতিরিক্ত মানসিক চাপ
কর্মক্ষেত্রের স্ট্রেস কর্টিসল হরমোন বাড়ায়, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি করে। একই সঙ্গে মিষ্টি বা লবণাক্ত খাবারের প্রতি আকর্ষণও বাড়ায়—যা ডায়াবিটিসের ঝুঁকিকে আরও ত্বরান্বিত করে।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার



