জাতীয়
প্রধান খবর

অক্টোবরে সড়ক, রেল ও নৌপথে ৫২৮ জন নিহত

গত অক্টোবরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৫৩২টি দুর্ঘটনায় ৫২৮ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩১০ জন আহত হয়েছেন। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু সড়ক দুর্ঘটনাই ঘটেছে ৪৬৯টি, যেখানে নিহত হয়েছেন ৪৬৯ জন এবং আহত হয়েছেন ১ হাজার ২৮০ জন। একই সময়ে রেলপথে ৫২টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ১১টি দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং একজন নিখোঁজ রয়েছেন।

দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, দুর্ঘটনায় মোট ৭৭২টি যানবাহনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৫.৯০ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২১.২৪ শতাংশ ট্রাক–পিকআপ–কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৬.০৬ শতাংশ বাস, ১২.৮০ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৮.৪১ শতাংশ নছিমন–করিমন–মাহিন্দ্রা–ট্রাক্টর–লেগুনা, ৪.৭৯ শতাংশ কার–জিপ–মাইক্রোবাস এবং ৪.২৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।

এ সময় ১৭০টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭৬ জন নিহত ও ১৩৭ জন আহত হয়েছেন। মোট দুর্ঘটনার মধ্যে ৪৯.৮৯ শতাংশ গাড়ি চাপা, ২৫.১৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৯.৬১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়া, ৪.৬৯ শতাংশ বিবিধ কারণ এবং ০.৬৩ শতাংশ ট্রেন–যানবাহন সংঘর্ষের কারণে ঘটেছে।

স্থানভেদে দেখা যায়, ৪২.৪৩ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে, ২৩.৬৬ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৭.২৯ শতাংশ ফিডার রোডে, ৪.৬৯ শতাংশ ঢাকা মহানগরে, ১.২৭ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরে এবং ০.৬৩ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে।

বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে—১২৬টি দুর্ঘটনায় নিহত ১৩০ জন, আহত ৩৪৩ জন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহ বিভাগে; সেখানে ২০টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ৩৭ জন আহত হয়েছেন। তথ্যসূত্র: যমুনা টিভি

সতর্কতা: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্ঘটনার এই প্রবণতা কমাতে চালক ও পথচারী—দু’পক্ষেরই সতর্কতা জরুরি।চালকদের অতিরিক্ত গতি, ক্লান্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো ও মোবাইল ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত।নিয়মিত গাড়ির ব্রেক, টায়ার ও লাইট পরীক্ষা করা প্রয়োজন।পথচারীদেরও নির্ধারিত ক্রসিং ও ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করতে হবে এবং চলন্ত সড়কে ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত।সড়ক ব্যবস্থাপনায় নজরদারি ও ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ না করলে দুর্ঘটনা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button