
সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় পাঁচ বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধারের ৩ দিন পর তাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগে গ্রামবাসী একই এলাকার সুইটি খাতুন নামে এক নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলার নারচী ইউনিয়নের কুপতলা মধ্যপাড়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। পরে সুইটিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত রবিবার মেহেদী নামে ওই শিশু দুপুরে নিখোঁজ হয়। এরপর বিকেলে বাঁশ ঝাড়ের ভিতর একটি ডোবার মাঝ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে গ্রামবাসী।
মেহেদী সারিয়াকান্দি উপজেলার কুপতলা মধ্যপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর মোল্লার নাতী। মৃত্যু মেহেদীর মা মিষ্টি বেগমের সাথে তার স্বামী আরিফের তালাক হওয়ায় সে নানা নানীর কাছে থাকতো। তার মা জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় চাকরী করে।
সুইটি ওই গ্রামের মৃত্যু হবিবর রহমানের মেয়ে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় , গত রবিবার দুপুরের দিকে মেহেদীকে না পেয়ে প্রতিবেশী ও আশপাশের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে স্বজনেরা। তারপর বিকেলের দিকে বাঁশ ঝাড়ের দিকে খোঁজাখুঁজি করলে ডোবায় তার লাশ পাওয়া যায়।
স্বাভাবিক মৃত্যু মনে করে পরিবার থেকে থানায় কোনো অভিযোগ না করেই সোমবার লাশটি দাফন করা হয়।
তবে পরবর্তীতে মেহেদী মারা যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী কাছে সুইটির আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। এর ধারাবাহিকতায় তারা তাকে আটকিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় সে মেহেদীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে স্হানীয় জনতার কাছে।
স্থানীয়দের কাছে এই নারী জানায়, মেহেদীর নানা নানীদের সাথে পুর্বের ঝগড়ার রেশ ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাঁশ ঝাড়ের ভিতর ডোবায় ফেলে রেখেছিলেন তিনি।
পরে খবর পেয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জামিরুল ইসলাম বলেন, আমরা আসামীকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।



