বগুড়া জেলাবগুড়া সদর উপজেলা
প্রধান খবর

বগুড়ায় জোড়া খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আটক: পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়া সদরের হরিগাড়িতে দুই নারীকে হত্যার ঘটনায় সৈকত (২০) নামে এক তরুণ আটক হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে হরিগাড়ির পাশের ছিলিমপুর এলাকার একটি পুকুর থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

আটক সৈকত হরিগাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। পুলিশের দাবি, সৈকত এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত।

গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নিজ বাড়িতে লাইলি ও হাবিবা নামে দুই নারী ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এ ঘটনায় মোছা. বন্যা আক্তার (১৮) নামে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আহত বন্যা হরিগাড়ির বুলবুলের মেয়ে এবং সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে লাইলি বেওয়া (৭০) সম্পর্কে বন্যার দাদী এবং হাবিবা ইয়াসমিন (২২) তার ভাইয়ের স্ত্রী।

বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি জানান রাতে অভিযোগ থেকে আমরা সনাক্ত করি এবং জানতে পারি পার্শ্ববর্তী সিলিমপুর এলাকার জঙ্গলে ঘেরা একটি পুকুরে ওই অভিযুক্ত লুকিয়ে আছে খবরটা পেয়ে আমরা পুরো এলাকা পুলিশ দিয়ে কর্ডন করে রাখি। একই সাথে আত্মসমর্পণের জন্য মাইকিং করা হয়। পরে রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে সৈকত নামে এই তরুণ পুকুর থেকে উঠে আসলে তাকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তি কয়েক ঘণ্টা পুকুরের পানিতে ডুবে ছিলেন।

আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৈকত হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

আটকের বরাত দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আহত বন্যার সাথে সৈকতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিন্তু সৈকতের মনে সন্দেহ ছিল তাকে ছাড়াও অন্য কারো সাথে বন্যার সম্পর্ক রয়েছে এই জের ধরে তাকে মারার চেষ্টা করে সৈকত। কিন্তু ওই সময় বন্যার ভাবি হাবিবা ও দাদী লাইলী এগিয়ে আসলে তাদেরকে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলে এই দুই নারী মারা যান।

স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় বন্যা তার ভাবি হাবিবা ও দাদী লাইলী বেওয়া বাড়িতেই ছিলেন। দুর্বৃত্তের হামলা পর নারী কণ্ঠের চিৎকারে স্বজনেরা ছুটে এসে বন্যা, লাইলী ও হাবিবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক লাইলী ও হাবিবাকে মৃত ঘোষণা করেন।

একটা ছেলের সঙ্গে বন্যার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্র ধরে বন্যাকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবার থেকে এই বিয়েতে কেউ রাজি ছিল না। এই ঘটনার জেরে এই হত্যাকাণ্ড বলে স্বজনরা দাবি করেন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button