বাড়িতে বসেই সহজে করা যায় এমন ১০টি স্বাস্থ্য পরীক্ষা

ব্যস্ত জীবনে সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। তবে প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা বাড়িতেই করা সম্ভব, যা সময় বাঁচানোর পাশাপাশি দ্রুত স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে সহায়ক।
১. রক্তচাপ মাপা
অটোমেটিক ব্লাড প্রেসার মনিটরের সাহায্যে বাড়িতে নিয়মিত রক্তচাপ মাপা যায়, যা উচ্চ বা নিম্ন রক্তচাপ সম্পর্কে সচেতন থাকতে সহায়তা করে।
২. ডায়াবেটিসের জন্য গ্লুকোজ পরীক্ষা
গ্লুকোমিটার দিয়ে কয়েক ফোঁটা রক্তের নমুনা নিয়ে তাৎক্ষণিক রক্তে শর্করার মাত্রা জানা যায়, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অপরিহার্য।
৩. অক্সিজেন লেভেল মাপা (SpO2)
পালস অক্সিমিটারের মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা সহজেই জানা যায়। শ্বাসকষ্ট বা ফুসফুসজনিত রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- শরীরের তাপমাত্রা মাপা
ডিজিটাল থার্মোমিটারের সাহায্যে দ্রুত ও সঠিকভাবে শরীরের তাপমাত্রা মাপা যায়, বিশেষ করে জ্বরের সময়।
৫. হৃদস্পন্দন পরীক্ষা
পালস মনিটর ব্যবহার করে হৃদস্পন্দন মাপা সম্ভব, যা হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বোঝার জন্য জরুরি।
৬. কোলেস্টেরল পরীক্ষা
বিশেষ কিটের মাধ্যমে বাড়িতেই রক্তের নমুনা নিয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা জানা যায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি নির্ণয়ে সহায়ক।
৭. মূত্রের পিএইচ পরীক্ষা
স্ট্রিপ ব্যবহার করে মূত্রের পিএইচ মাপা সম্ভব, যা কিডনি ও শরীরের অ্যাসিড-ক্ষার ভারসাম্য বোঝাতে সহায়তা করে।
৮. ওজন ও BMI মাপা
ডিজিটাল ওজন মেশিন দিয়ে ওজন মাপা যায় এবং উচ্চতা-ওজনের অনুপাত হিসাব করে BMI নির্ধারণ করা সম্ভব।
৯. স্ট্রেস লেভেল মাপা
বিশেষ ডিভাইস ব্যবহার করে হৃদস্পন্দন ও শ্বাসপ্রশ্বাসের হার বিশ্লেষণ করে মানসিক চাপের মাত্রা জানা যায়।
১০. গর্ভাবস্থা পরীক্ষা
গর্ভাবস্থা পরীক্ষার কিট ব্যবহার করে কয়েক মিনিটেই ফলাফল পাওয়া যায়।
বাড়িতে নিয়মিত এসব সহজ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে রোগ প্রতিরোধ ও সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ সহজ হয়, যা দীর্ঘমেয়াদী সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।