
জুলাই ঘোষণাপত্রকে জনগণের সঙ্গে প্রতারণামূলক প্রহসন আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের ৬০ জন ছাত্রনেতা। রোববার রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এই ঘোষণাপত্র প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন।
বিবৃতিতে তারা দাবি করেন, শ্রেণি-পেশা, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জাতির প্রতিনিধিত্বে সক্ষম গণপরিষদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে এবং প্রকৃত ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন গণবান্ধব সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। এ লক্ষ্যে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা, পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, নারীসমাজ, কৃষক-শ্রমিক, পেশাজীবীসহ ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়।
তাদের বক্তব্যে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও শেখ হাসিনার স্বৈরাচার থেকে মুক্ত করেছে। এ আন্দোলনে জনগণ পুরোনো শোষণ-নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা, পুলিশ, আদালত, আইন-সংবিধান ও পুরোনো কর্তৃত্ব অস্বীকার করে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের দায়িত্ব হাতে তুলে নেয়।
ছাত্রনেতারা অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্ট শোষণমূলক আমলাতন্ত্র, লুটেরা শক্তি ও দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের স্বার্থে প্রতারণামূলক ও অর্থহীন একটি দলিলকে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা প্রতিশ্রুতি দেন, হাজারো শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া হবে না এবং সত্যিকারের গণবান্ধব বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
বিবৃতিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিফ সোহেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, মো. ওয়াহিদ উজ জামান, হামজা মাহবুব ও কুররাতুল আইন কানিজ, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. রাসেল, ঢাকা কলেজের মো. রাকিব, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আসাদ বিন রনি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাকিব হোসাইন, শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের ইব্রাহিম নীরব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণা রিয়া, স্টেট ইউনিভার্সিটির মিশু আলী সুহাস, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল তানভীর, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের সিনথিয়া জাহিন আয়েশাসহ ৬০ জন স্বাক্ষর করেন।