বগুড়া জেলা
প্রধান খবর

সমাধান হচ্ছে বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সমস্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্রে হওয়া মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে নম্বরের ত্রুটি আগামী সপ্তাহে সমাধান হতে পারে বলে জানা গেছে। বুধবার (১৬ জুলাই) বগুড়া জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষ ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় আটটি স্কুলের ৮৮৩জন পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র ছিল এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আটটি স্কুল হলো, বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, করনোশেন উচ্চ বিদ্যালয়, কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, সেন্ট্রাল উচ্চ বিদ্যালয়, বগুড়া পৌর উচ্চ বিদ্যালয়, ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল ও কলেজ, দারুল ইসলাম নৈশ স্কুল, আলোর মেলা হাই স্কুল।

প্রতিটি পরীক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়টিতে পুরো নম্বর দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবে ২৫ নম্বর বাদ পড়েছে। এই কম নম্বর ৮৮৩ জন পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই হয়েছে।

জিলা স্কুল কেন্দ্র থেকে নম্বর সঠিকভাবে দেয়া হয়েছে। এখানে কারিগরি ত্রুটির জন্য নম্বর বাদ পড়েছে কেন্দ্র সচিব ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিমা নাসরিন। পরে রোববার রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে সংশোধনের জন্য আবেদন পাঠান কেন্দ্র সচিব।

আবেদনের বিষয়টি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম। সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্টের কাছে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্রের সব পরীক্ষার্থীর ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় নির্ধারিত নম্বর ৫০-এর স্থলে ভুলবশত ২৫ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে পাঠানো হয়েছে বলে কেন্দ্রসচিব লিখিতভাবে জানিয়েছেন। ওই কেন্দ্রের সব পরীক্ষার্থীর ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের ব্যবহারিক নম্বর ২৫-এর স্থলে ৫০ সন্নিবেশিত করে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এমতাবস্থায় বগুড়া জিলা স্কুলের পরীক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ২৫-এর স্থলে ৫০ সন্নিবেশ করে ফলাফল সংশোধনপূর্বক প্রকাশের জন্য অনুরোধ করা হলো।

এ বিষয়ে বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিমা নাসরিন বলেন, আমরা আবেদন করেছি। সেটা আটটা স্কুলেই কপি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বোর্ডের অন্য জেলা থেকেও অনেক সংশোধনী গেছে ওখানে। আমি আবেদনের পরেও যোগাযোগ করেছি, তারা জানিয়েছেন ১৭ তারিখ থেকে এসব সমস্যা যাচাই শুরু করবেন। কাজ শুরু হলে দুই থেকে তিনি দিন লাগবে।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আরিফুল ইসলামও একই রকম আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, এটা নিয়ে সিস্টেম এনালিস্ট কাজ করছেন।

শিক্ষকদের সূত্রে জানা যায়, ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়টিতে কোনো লিখিত পরীক্ষা হয় না। এর পরিবর্তে, শিক্ষার্থীদের স্কুল পর্যায়ে বিভিন্ন ব্যবহারিক কাজ, প্রজেক্ট তৈরি, উপস্থাপনা, বিতর্ক, কর্মশালা ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে নম্বর মূল্যায়ন করা হয়। এই ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য একটি নির্দিষ্ট নম্বর বিভাজন থাকে। সাধারণত, ব্যবহারিক কাজের জন্য ২৫ নম্বর বরাদ্দ থাকে এবং বাকি নম্বরগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংরক্ষণ করে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এসএসসি ফলাফল প্রকাশের পর ‘ক্যারিয়ার শিক্ষা’ বিষয়ে কম নম্বর পাওয়ার বিষয়টি নজরে আসে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। ঘটনাটি নিয়ে বগুড়া জিলা স্কুলে হট্টগোলের করেছে ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তোপের মুখে পড়েন জিলা স্কুলের শিক্ষকেরা। এ সময় উত্তেজিত অভিভাবকদের হাতে কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button