বগুড়া সদর উপজেলা

বগুড়ায় হয়ে গেলো ২ দিন ব্যাপী রান্না বিষয়ক প্রতিযোগিতা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়ায় হয়ে গেলো দুইদিন ব্যাপী রান্না বিষয়ক প্রতিযোগিতা। রঙ্গন রাধুনী ঘরের আয়োজনে এবং বগুড়ার রোচাস রেস্টুরেন্ট ও রোপ মহিলা উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় রোচাস রে্টেুরেন্টের কনফারেন্স কক্ষে রোববার বিকেলে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় জেলার ১৩ জন নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম, নিরাপদ্য খাদ্য কর্মকর্তা মো. রাসেল, ফুড এন্ড বেভারেজের এসেসর এন্ড ট্রেইনার তাহমিনা পারভীন শ্যামলী, রঙ্গন রাধুনি রান্নাঘরের সিইও মো. সালেহীন ইকবাল, বিশিষ্ট শেফ ও ট্রেইনার রেহানা মোরতুজা, শেফ এন্ড ট্রেইনার শামারিয়া শহীদ।

রঙ্গন রাধুনি রান্নাঘরের সিইও মো. সালেহীন ইকবাল বলেন, গোটা বাংলাদেশের সব নারী এবং পুরুষরা যারা আছেন তাদেরকে নিয়ে এই প্রোগ্রামটা করছি। এই প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য হচ্ছে এখান থেকে যারা প্রথম থেকে তৃতীয় এবং যারা ওয়েটিং কার্ড পাবে তাদেরকে নিয়ে রাজশাহী কিংবা ঢাকাতে বড় করে একটা গ্রান্ড ফাইনালে করতে চাই ১০টি পর্ব নিয়ে।

তিনি বলেন, অনেক নারী উদ্যোক্তা আছেন যারা পেছনে পড়ে গেছেন, যারা ফোকাসে আসছে না। রঙ্গন রাধুনী রান্না ঘর তাদেরকে নিয়েই কাজ করবে। রঙ্গন রাধুনী রান্না ঘরের মাধ্যমে তাদেরকে সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করবো।

ফুড এন্ড বেভারেজের এসেসর এন্ড ট্রেইনার তাহমিনা পারভীন শ্যামলী বলেন, আমি চাই নারীরা এগিয়ে যাক। নারীরা পিছিয়ে না থাকুক। কারণ আমাদের দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। নারী যদি পিছিয়ে থাকে তাহলে দেশ পিছিয়ে থাকবে। নারীরা সমানভাবে পুরুষের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হোক। আমার খুবই ইচ্ছে আছে ব্যক্তিগতভাবে একটি ট্রেনিং ইন্সটিটিউট দেয়ার। যেখানে নারীরা দক্ষ হবে। তাদের কাজের জায়গা তৈরি হবে। আমরা সব সময় বলি কাজ নেই দেশে। আমি বলি লোক বা কর্মী নেই। কাজ যে আমি দেবো সেরকম মানুষ নেই। আমি সেই মানুষটাকেই তৈরি করতে চাই। যে মানুষগুলো কাজ জানবে এবং করবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, রান্না কেবল রেসিপি অনুসরণ নয়, বরং একটি শিল্প। প্রতিযোগিতা মানুষের ভেতরের সৃজনশীলতা, নতুন রেসিপি উদ্ভাবন এবং উপস্থাপন দক্ষতা বাড়ায়। বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। এতে করে হারিয়ে যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়ার পথে থাকা ঐতিহ্যবাহী রান্নাগুলো নতুন প্রজন্মের সামনে আসে। বিশেষ করে নারীদের জন্য রান্না বিষয়ক প্রতিযোগিতা আত্মবিশ্বাস ও আত্মপ্রকাশের একটি বড় ক্ষেত্র। এটি তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়।

বগুড়ার নিরাপদ্য খাদ্য কর্মকর্তা মো. রাসেল বলেন, আমরা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কোনো খাদ্য আইটেমকেই ছেড়ে দিতে চাই না। সবকিছু নিয়েই কাজ করতে চাই। নারী উদ্যোক্তারা যেহেতু অনেক খাবার নিয়ে কাজ করেন। অনলাইন প্লাটফর্মে তাদের কাছে যে কোনো খাবারের অর্ডার আসলেই তারা এক্সেপ্ট করেন। আমরা চেষ্টা করবো তাদেরকে ফুড সেফটি হাইজিন প্রটোকল সম্পর্কিত বেসিক এবং হায়ার লেভেল নলেজ শেয়ার করা যায় কিভাবে তাদের সাথে এই বিষয়টা নিয়ে আমরা ভাববো। আশা করি এটা খুব ভালো একটা কাজ হবে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button