
গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (আজ) দুপুরে লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিকেল পৌনে ৩টার দিকে সমাবেশ শেষ করে ফিরে যাওয়ার সময় সড়ক অবরোধ করে এনসিপির গাড়িবহরে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা— এমন অভিযোগ এনসিপির। এ সময় পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। হামলাকারীরা গাড়িবহরে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে এনসিপির নেতাকর্মীদের নিয়ে পিছু হটতে দেখা যায়।

সংঘর্ষ চলাকালে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সেখানে তিনি লিখেন, “গোপালগঞ্জে খুনি হাসিনার দালালেরা আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে নাটক দেখছে।”
তিনি আরও লেখেন, “আমরা যদি এখান থেকে বেঁচে ফিরি তাহলে মুজিববাদের কবর রচনা করেই ফিরব, না হলে ফিরব না। সারা দেশের মানুষ গোপালগঞ্জে ছুটে আসুন। গোপালগঞ্জের বিবেকবান ছাত্র জনতা জেগে উঠুন। দালালদের কবর রচনার আজকেই শেষ দিন।”
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।