মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা: প্রধান আসামির দোষ স্বীকার
রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (মিটফোর্ড) সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৩৯) হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন।
রবিবার (২০ জুলাই) পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করলে আদালত তা গ্রহণ করেন এবং মহিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে একদল লোক প্রকাশ্যে পাথর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
পরদিন (১০ জুলাই) নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম কোতোয়ালি থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই ঘটনায় পুলিশও একটি অস্ত্র মামলা করে।
উল্লেখ্য, মহিনকে দুই দফায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন।
