জান্নাতে নবীজি (সা.)-এর সান্নিধ্য পেতে করণীয় কিছু আমল

মানবজাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ ও পথপ্রদর্শক হলেন নবীজি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি মানবসভ্যতার জন্য এনেছিলেন হেদায়াত ও মুক্তির বার্তা। তার প্রতিটি জীবনপর্বে রয়েছে শিক্ষা, প্রতিটি বাক্যে নিহিত আছে চিরন্তন সত্যের দিশা। সাহাবায়ে কেরাম সরাসরি তার সান্নিধ্যে থেকে ইমান, ইবাদত ও নৈতিকতার শ্রেষ্ঠ পাঠ গ্রহণের সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন। তবে বর্তমান মুমিনদের জন্যও জান্নাতে তার সান্নিধ্য অর্জনের পথ খোলা রয়েছে। হাদিসে এমন কয়েকটি বিশেষ আমল বর্ণিত হয়েছে—
অধিক সেজদা করা
রাবিয়া ইবনে কাব (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) তাকে বেশি বেশি সেজদার মাধ্যমে জান্নাতে তার সান্নিধ্য লাভের নির্দেশ দিয়েছিলেন। (সহিহ মুসলিম)
এতিমের দায়িত্ব গ্রহণ
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি ও এতিম প্রতিপালনকারী জান্নাতে এভাবে থাকব।’ (সহিহ বোখারি)
কন্যাসন্তান লালন
যে ব্যক্তি দুই কন্যার দায়িত্ব পালন করবে, সে জান্নাতে নবীজি (সা.)-এর সান্নিধ্যে থাকবে। (জামে তিরমিজি)
বোনদের প্রতিপালন
দুই বা ততোধিক কন্যা বা বোনের ভরণপোষণকারীর জন্যও জান্নাতে নবীজি (সা.)-এর সান্নিধ্যের সুসংবাদ রয়েছে। (ইবনে হিব্বান)
উত্তম চরিত্র
নবীজি (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিনে তার কাছে সবচেয়ে প্রিয় ও নিকটবর্তী হবেন উত্তম চরিত্রের অধিকারীরা। (মুসনাদে আহমাদ)
নবীজির প্রতি ভালোবাসা
এক ব্যক্তি নবীজি (সা.)-কে জানায়, তার কাছে কেয়ামতের জন্য প্রস্তুতি নেই, তবে তিনি আল্লাহ ও তার রাসুলকে ভালোবাসেন। উত্তরে নবীজি (সা.) বলেন, মানুষ তাদের সঙ্গেই থাকবে, যাদের ভালোবাসে। (সহিহ মুসলিম)
অধিক দরুদ পাঠ
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে আমার ওপর বেশি দরুদ পাঠ করবে, কেয়ামতের দিন সে-ই আমার সর্বাধিক নৈকট্যপ্রাপ্ত হবে।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা)
মহান আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের সবাইকে এসব আমল যথাযথভাবে পালন করার তওফিক দেন এবং জান্নাতে নবীজি (সা.)-এর সান্নিধ্য অর্জনের সৌভাগ্য দান করেন। আমিন।