বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সংগঠক আল ফাহাদকে অব্যাহত

চাঁদাবাজি ও নানা অনিয়মের অভিযোগে বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক কমিটির সংগঠক আল ফাহাদকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার সংগঠনের মুখ্য সংগঠক আজিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে আল ফাহাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ প্রকাশিত হয়। এসব অভিযোগের ব্যাখ্যা চেয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে সংগঠন প্রধানের নিকট লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। জেলা আহ্বায়ক মাহামুদুল হাসান ও সদস্য সচিব সাকিব খান সাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত আল ফাহাদকে সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, আল ফাহাদ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ডহরপুর গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি আদমদীঘি সদরের শিবপুর গ্রামের আশিক নামে এক যুবকের জন্ম নিবন্ধনের বয়স সংশোধনের বিনিময়ে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। এ ছাড়া কোমারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলামের কাছ থেকেও একই পরিমাণ অর্থ দাবি করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
গত ২৯ মে উপজেলার সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি দল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত আনজুম অনন্যা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।
ইউএনও বলেন, “অভিযোগের কপি অফিসে জমা পড়েছে। তদন্ত করে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
বিষয়টি নিয়ে জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব সাকিব হাসান বলেন, “আল ফাহাদের বিরুদ্ধে জন্মনিবন্ধন সংশোধন, সরকারি বরাদ্দ পাইয়ে দেওয়ার নামে অর্থ নেওয়াসহ চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে তাকে আগে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছিল। পুনরায় অভিযোগ আসায় এবার লিখিতভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
অপরদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে আল ফাহাদ বলেন, “আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নই। আশিকের জন্মসনদের কাজের জন্য দেড় হাজার টাকা নিয়েছিলাম, কাজ না হওয়ায় ফেরত দিয়েছি।”
তিনি দাবি করেন, “আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নিজের দলের কিছু সদস্য প্রতিহিংসাবশত মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছেন।”
তিনি সংগঠনের কাছে সময়মতো লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করবেন বলেও জানান।