লাইফস্টাইল

বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন সচেতনতা ও সতর্কতা

বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে প্রাণ হারান বহু মানুষ। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন খোলা জায়গায় কর্মরত কৃষক, জেলে ও শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত বজ্রপাতের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। তাই জীবন রক্ষায় প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা ও সচেতনতা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম উপায় হলো বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা এড়িয়ে চলা এবং সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা। মাঠে কাজ করা অবস্থায় আকাশে মেঘ দেখা দিলে দ্রুত সরে আসতে হবে নিরাপদ আশ্রয়ে। আশপাশে যদি উঁচু গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি বা ধাতব কিছু থাকে, সেখান থেকে দূরে থাকতে হবে।

বজ্রপাতের সময় করণীয় বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—

  • ঘরের ভেতরে অবস্থান করা এবং দরজা-জানালা বন্ধ রাখা।
  • বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা।
  • চারপাশে ধাতব কিছু থাকলে তা থেকে দূরে সরে যাওয়া।
  • একা না থেকে অনেকজন মিলে কাছাকাছি না দাঁড়িয়ে ছড়িয়ে থাকা।
  • পাকা ভবনে আশ্রয় নেওয়া এবং কোনো অবস্থাতেই গাছের নিচে না দাঁড়ানো।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বজ্রপাতের পূর্বাভাস পাওয়া গেলে তা অনুসরণ করে সময়মতো নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিলে প্রাণহানি রোধ করা সম্ভব। এ জন্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।

সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তি ও সমাজকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। বজ্রপাতকে শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে না দেখে প্রতিরোধযোগ্য একটি বিপদ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। তাহলে প্রতি বছর যে প্রাণহানি হয়, তা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।

সচেতনতাই পারে বাঁচাতে হাজারো প্রাণ।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button