মহাস্থানে পোর্টেবল ওজন নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র যন্ত্রটি চালু হয়নি ৪ বছরেও
পরীক্ষামূলকেই বিকল যন্ত্রটি চালু হয়নি ৪ বছরেও
বগুড়ার মহাস্থানে স্থাপনের (ওয়ে স্কেল) ৪ বছরে একটি দিনের জন্য চালু হয়নি পোর্টেবল ওজন নিয়ন্ত্রন যন্ত্রটি। স্থাপনের পর ওজন স্কেলটি ট্রায়াল (পরিক্ষামূলক) দেয়ার সময় বিকল হয়ে পড়ে। মেশিনের ইনডিকেটর নষ্ট হয়ে পড়ে। এখন পের্টেবল ওজন নিয়ন্ত্রন যন্ত্রটি সড়ক ও জনপথ (সওজ)-এর যান্ত্রিক বিভাগে স্টোর রুমের মধ্যে তালা বদ্ধ রয়েছে বলে জানান যান্ত্রিক বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী হাসান শহীদ সোহরাওয়ার্দী। কি কারণে পোর্টেবল ওজন নিয়ন্ত্রন যন্ত্রটি চালু করা সম্ভব হয়নি এর সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি।
ওজন স্কেলটি স্থাপনের পর একদিনে জন্যও কোন ট্রাকের পন্যের ওজন মাপা হয়নি। ওজন মাপা যন্ত্রের কেন্দ্রটিকে ঘিরে জন্মেছে বড় বড় ঘাস-লতা ও আগাছা জন্মেছে। গত ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারী পের্টেবল ওজন নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটির কাজ শুরু হয় চেষ্টা করা হয়। ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মহাস্থানের গোকুলে লোড কন্ট্রোল ষ্টেশনটি একটি পোর্টেবল ওজন নিয়ন্ত্রন যন্ত্রের উদ্ধোধান করেন। বগুড়া চাঁপাই নবাবগঞ্জ, লালমনিরহাটসহ দেশের ৮ স্থানে একসাথে পের্টেবল ওজন নিয়ন্ত্রন যন্ত্র স্থাপন করা হয়।
বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান জানান, সম্ভবতঃ ৮ মেশিনের মধ্যে ৩টি চালু করা সম্ভব হয়নি। এর আগে মেশিনটি অপারেট করার জন্য কম্পিউটার ওয়ার্ল্ড বিডিকে দায়িত্ব দেয়া। তারা স্থানীয়দের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেন। তারা নির্দেশনা দেন যে এর ওপরদিয়ে ৪০ টন ওজনের বেশি কোন পন্যের ট্রাক ওঠানামা করা যাবে না। কিন্তু ট্রায়াল দেয়ার পর ইন্ডিকেটর নষ্ট হওয়া পর এটি আর চালু করা সম্ভব হয়নি। ঢাকা থেকে এটির দরপত্র আহবান ও কার্যাদেশ দেয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে ১৭ লাখ টাকা করতে পারবে বলে তাকে আমন্ত্রন জানান হয়। মেশিনটি বিদেশ থেকে আমদানি হতে হবে এমন শর্ত দেওয়া হয়। কিন্তু কোন দেশের নাম নির্দিষ্ট না থাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি চিন থেকে মেশিনটি আমদানি করেন।
পের্টেবল ওজন নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটি স্থাপনের পর পর ইন্ডিকেটর নষ্ট হয়ে গেলে মেরামতের পর চালু করা না গেলে মেশিনটি অকেজ হয়ে পড়ে আছে। তৎকালিন নির্বাহী প্রকৌশলী বিষয়টি ঢাকায় উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। ’১৫ সালের ৬ এপ্রিল মাসে মেশিনের ইন্ডিকেটরসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি খুলে ঢাকায় পাঠনো হয়। মেসিনটি সচল হওয়ার পর আবারও বিকল হয়ে পড়ে বলে জানান, বগুড়া সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান। পের্টেবল ওজন নিয়ন্ত্রন যন্ত্রটি পাহারা দেয়ার জন্য ৬ আনসার ও সওজ’র ৩ জন কর্মচারি নিয়োগ করা হয়। এর কার্যক্রম চালু না হওয়ার জনবল সরিয়ে নেয়া হয়। এখন সড়ক ও জনপথের বেতন প্রাপ্ত ২ জন পাহাদার অন্ধকার মেশিন ঘরের মধ্যে পালা করে দিন রাত পাহারা দিচ্ছে।
এদিকে বগুড়ায় ওজন মেশিন প্রস্তুত কারক প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী সৈয়দ আহমেদ কিরন জানান, যে যে ওজন মেশিন ১৭ লাখ টাকা দিয়ে স্থাপন করা হয়েছে তা ২ লাখ টাকা দিয়ে করা যাবে। এর জন্য যে কোন ধরনের গ্যারান্টি দিতেও তারা প্রস্তুত। এতে প্রতিটি মেশিনে সরকারে ১৫ লাখ টাকা সাশ্রয় হতো।
সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী জানান যে, স্থানে পোর্টেবল ওজন নিয়ন্ত্রন যন্ত্রটি স্থাপন করা হয়েছে যে জায়গায় মহসড়কটি সরু। এই স্থানটি আরও প্রসস্থ করতে হবে। ওজনের জন্য মালামাল ওঠানামার জন্য আর কিছু জায়গা নিতে হবে।