আদমদিঘী উপজেলা

সান্তাহার জংশন স্টেশনে পকেটমার চক্রের উৎপাত বৃদ্ধি, নিরাপত্তাহীনতায় যাত্রীরা

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে পকেটমার চক্রের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে চুরি ও ছিনতাই  যাওয়ার মত ঘটনা । এতে যাত্রীসাধারনের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা গেছে, অপারাধী চক্র বিভিন্ন মহলের যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ এরকম কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। এই পকেটমার চক্রের কবলে পরলে কেউ রক্ষা পাচ্ছে না । এদের অপরাধের সীমানা দিনদিন বেড়েই চলছে।

ট্রেনযাত্রী সূত্রে জানা যায়, বেশির ভাগই ট্রেনে ওঠার এবং নামার সময় ভিড়ের মাঝে কৌশলে চুরি ছিনতাই হচ্ছে।

দ্রুতযান আন্তঃনগর ট্রেনের একজন মহিলা যাত্রী জানান, ট্রেনে ওঠার সময় ভিরের মধ্যে ব্যাগ থেকে আমার টাকাসহ অন্যান্য জিনিসি হারিয়ে যায়। কিন্তু কিছুক্ষন পরে দেখা যায় টিকিটটি পড়ে আছে।

এই সব আপরাধী চক্রের বেশিরভাগ টার্গেট থাকে মোবাইল ফোন, সোনার গহনা ও নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার। গত কয়েক মাসে বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনে যাত্রীদের নিকট থেকে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলে যাত্রীদের অভিযোগে জানা গেছে। এখন প্রতিনিয়ত এরকম ঘটনায় ট্রেন যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বৃহৎ একটি অপারাধী চক্র দীর্ঘদিন থেকে এই ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসলেও রেলওয়ে থানা পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী রহস্যজনক নিরবতার কারনে এ ধরনের অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জানা গেছে, সর্বশেষ পকেটমারের ঘটনা ঘটেছে গতকাল বৃহষ্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় আন্ত:নগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে। এ দিন চট্টগ্রাম ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্র ট্রেন যাত্রী অনিক (২২) সান্তাহার থেকে ঢাকাগামী উল্লেখিত আন্ত:নগর ট্রেনে ওঠার সময় মূল্যবান ১টি মোবাইল ফোন তার কাছ থেকে চুরি যায়। পরে বিষয়টি সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। এর আগে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি আব্বাস আলী পত্রিকা অফিসের কাজ শেষে ঢাকা থেকে সান্তাহার স্টেশনে নামার সময় পকেটমারেরা তার পকেট থেকে মূল্যবান মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এঘটনায় তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) অবহিত করলে তিনি বলেন, অভিযোগ করে কি লাভ বরং নিজের মোবাইলের প্রতি নিজেকে খেয়াল রাখতে হবে এবং সচেতন হয়ে চলতে হবে।

সান্তাহার ষ্টেশন মাষ্টার রেজাউল করিম ডালিম ষ্টেশনে চুরি, ছিনতাই ও পকেটমারের ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বিয়ষগুলো জিআরপি থানা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে অবহতি করা হয়েছে কিন্তু কোন লাভ হয়নি। দিন দিন অপরাধগুলো বেড়েই চলেছে।

এ ব্যাপারে সান্তাহার রেলওয়ে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর হোসেন বলেন, এমন ঘটনা শুধু সান্তাহারেই ঘটছে না সাড়া দেশেই ঘটছে তবে এখানে একটু বেশি। চেষ্টা করবো যাতে এ সংক্রান্ত অপরাধ যেন বৃদ্ধি না পায়। এবং শুধু রেলপুলিশকে দোষ দিলে চলবে না পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হতে হবে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button