আলোকচিত্রে আমার গ্রাম
বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলায় সবুজ ঘেরা আমার গ্রাম ‘দেবডাঙার’ কিছু আলোকচিত্র।
সবুজ ধানক্ষেত, নীল আকাশ।
সামনে জমিটা সম্ভবত গমের। দূরের জমিগুলোর ‘আইল’ ঘেসে জন্মানো কিছু সবুজ ঘাস খাচ্ছে এক দল ছাগল। আকাশটা নীল!
মনে পড়ে প্রিয় কবি জীবনানন্দের কবিতা:
“এখানে আকাশ নীল- নীলাভ আকাশ জুড়ে সজিনার ফুল
ফুটে থাকে হিম শাদা- রং তার আশ্বিনের আলোর মতন!”
সবুজ ধানক্ষেত। দূরের কিছু জমির রং টিয়া পাখির শরীরের মতো। এই রং আমার ভীষন প্রিয়।
আমার গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা
ধানের চারা গাছের ওপর বিকেলে সূর্যের কমলা রঙের আলো পড়ছে
আমার গ্রামের লোকজনের মুখে শুনেছি ওই জঙ্গলে না কি ভূত থাকে!
বৃষ্টির পর উঠোনে শ্যাওলা পড়ে আছে। এই শ্যাওলার ওপর এতোই আছাড় খেয়েছি! হিসেব নেই।
বিদ্যুতের তারের ওপর কিছু পাখি বসে আছে।একফালি সবুজের বুকে নীল আকাশটা উঁকি দিচ্ছে।
এটা হচ্ছে পাটের ক্ষেত। দূরে দেখা যাচ্ছে দুইটি নেটওয়ার্ক টাওয়ার। সবুজ ঘেরা আমার গ্রামটা কিন্তু থ্রিজি, এখন ফোরজি হবে।
শহুরে জীবনের ব্যাস্ততায় প্রিয় গ্রামে যাওয়া হয়না অনেকদিন। শৈশবে এই জমিগুলোর আইল ধরে কতো দৌড়েছি!
ছোটবেলায় মাঝেমধ্যে এই কলা বাগান থেকে কাঁচাকলা চুরি করে পাশের জমিতে পুড়িয়ে খেয়েছি!
গ্রামে গেলে আমি, আমার মামা ড. ইকবাল সহ আরো কয়েকজন মিলে এই আমগাছের ছা য়ায় বসে বৈশাখ-জৈষ্ঠ্যের সময় খুব আড্ডা হত।এখন সময় কাটে অবহেলায়, গ্রাম থেকে বহুদূরে। যেখানে বৈশাখের ঘ্রাণ আসেনা।
আমার গ্রামের কথা মনে পড়ে, শেকড়ের কথা মনে পড়ে। মাঝে মাঝে মনে হয় সবকিছু ছেড়ে আমার সবুজ গ্রামে হারিয়ে যাই।
আলোকচিত্রী: নাভিদ ইবনে সাজিদ নির্জন