আজ পবিত্র শবে বরাত
পাপ থেকে সর্বান্তঃকরণে ক্ষমা প্রার্থনা করে নিষ্কৃতি লাভের অপার সৌভাগ্যের রাত আজ। আজ দিবসের আলো পশ্চিমে মিলিয়ে যাবার পরই শুরু হবে কাঙ্খিত এই রজনী,পবিত্র শবে বারা’ত। বর্ণিত আছে যে,রাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নূরের তাজাল্লি পৃথিবীর নিকট আসমানে প্রকাশ পায়। তখন আল্লাহ তায়ালা বলতে থাকেন-’আছে কি কেউ ক্ষমাপ্রার্থী? যাকে আমি ক্ষমা করব? আছে কি কেউ রিজিক প্রার্থী? যাকে আমি রিজিক প্রদান করব? আছে কি কেউ বিপদগ্রস্ত? যাকে আমি বিপদমুক্ত করব? আল্লাহ তায়ালার মহান দরবার থেকে প্রদত্ত এ আহ্বান অব্যাহত থাকে ফজর অবধি। এ রাতে বান্দারা মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট থেকে মার্জনা প্রার্থনা করে থাকেন।
শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়। এ ব্যাপারে কুরআন শরিফে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ না থাকলেও হাদীস শরীফে এটাকে ’লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বা মধ্য শাবানের রাত্রি নামে অভিহিত করা হয়েছে। এর পক্ষকাল পরেই আসবে রহমত বরকত নাজাতের মাহে রমজান। ১৭ মে বৃহস্পতিবার প্রথম রোজা। শবে বরাতকে বলা হয় রমজানের মুয়াজ্জিন।
বাংলাদেশ,ভারত,পাকিস্তান,সিরিয়ার কিছু এলাকায় ঘটা করে শবে বরাত পালিত হয়। তবে পবিত্র মক্কা-মদীনা,আরবসহ বিশ্বের কোথাও শবে বরাত পালন করা হয় না।
এই রাতেই পরবর্তী বছরের মৃত্যুবরণকারী মানুষ এবং পরবর্তী বছরের জন্মগ্রহণকারী শিশুদের তালিকা করা হয়। রাতভর নামাজ,কুরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া মাহফিল, তাসবিহ-তাহলিল ইত্যাদি ইবাদতে মগ্ন থাকাই এ রাতের প্রধান শিক্ষা,যে শিক্ষা জীবনব্যাপী অব্যাহত রাখার তাগিদ।
আলোকসজ্জা, হালুয়া-রুটি আর আতশবাজির মেলা এ রাতের পবিত্রতায় আঘাত হানে। কারণ উৎসব নয়, কেবল প্রার্থনার রাত ‘শবেবরাত’।
যথাযথ মর্যাদায় ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে আজ পবিত্র শবে বরাত উদযাপিত হবে।