জাতীয়
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজ বাসায় বার্ধক্যজনিত কারণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন খ্যাতিমান সাহিত্যিক ও জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম।
রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা ও সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তিত্বদের শ্রদ্ধার্ঘ্য ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ভাষাসৈনিক অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম।

শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নাগরিকরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা শেষে বিকালে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
১৯২৭ সালের ১লা মে, বগুড়া, মহাস্থানগড় সংলগ্ন চিঙ্গাশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মুস্তাফা নূরউল ইসলাম। পিতা সাদাত আলী আখন্দ, সরকারি কর্মচারী। পিতার কর্মসূত্রে শৈশব কলকাতায়, ইস্কুল-কলেজে লেখাপড়া করেন। পরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন (বাংলা) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, পিএইচ.ডি. লাভ করেন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
তিনি কিশোর বয়স থেকে আবৃত্তি, নাটকাভিনয় ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত। লেখালেখিও তখন থেকেই, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বামঘেষা ছাত্র রাজনীতি, প্রগতি সাহিত্য সংস্কৃতি আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী।
জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলামের প্রবন্ধ-সঙ্কলন ও গবেষণা গ্রন্থের সংখ্যা ৩০টির অধিক।
মুস্তাফা নূরউল ইসলাম ‘সুন্দরম’ নামে ত্রৈমাসিক পত্রিকাও সম্পাদনা করেছেন।
সাহিত্য ও শিল্পকলায় অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদক লাভ করেছেন।