বগুড়ার শিবগঞ্জে চার মার্ডারের পিছনে এক হাজার পিচ ইয়াবা
সাইফুল্লাহ মানসুর (বগুড়া লাইভ) : বগুড়ার শিবগঞ্জে চাঞ্চল্য ফোর মার্ডারের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পুলিশ হেড কোয়াটার্স উইং ও জেলা পুলিশের যৌথ তদন্তের পর হত্যাকান্ডে অংশ নেয়া তিনজনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের কাছে হত্যার ঘটনা বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দী দিয়েছে জুয়েল শেখ (২৫), আবুল কালাম আজাদ (৪৮) এবং রুবেল (২৭)। তাদের সকলের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলায়।
উক্ত ঘটনায় নিহত জাকারিয়ার পিতা বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (৮ মে) ৯ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। লাশ উদ্ধারের পর থেকেই পুলিশের একাধিক টিম হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন ও হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে মাঠে নামে। ঘটনার মাত্র ৬ দিনের মাথায় হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে সফল হয়েছে পুলিশ।
এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, নিহত জাকারিয়া শিবগঞ্জ উপজেলার কাঠগড়া চক পাড়া গ্রামের জুয়েলের কাছে এক হাজার পিচ ইয়াবার টাকা পেত। এ নিয়ে জাকারিয়ার সাথে জুয়েলের প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। ঘটনার রাতে জুয়েল ও তার সহযোগিরা পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বলে জাকারিয়া ও সাবুকে ডাবইর এলাকায় ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে জুয়েল, আবুল কালাম আজাদ, রুবেল সহ আরো ৬ জন মিলে জাকারিয়া ও সাবুকে গলা কেটে হত্যা করে।
এ সময় ওই এলাকা দিয়ে হেলাল ও খবির নামের দুইজন ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়ার সময় লাশ দু’টি দেখে ফেলে। এ সময় হত্যাকারীরা হেলাল ও খবিরকে জিজ্ঞাসা করে, তারা লাশ দেখেছে কিনা? তারা বলে লাশ দেখেছে এবং তাদের কে খুন করলো সেটা জানতে চান? এ কথা বলার পর হত্যাকারীরা ভয় পেয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে হত্যাকারীরা হেলাল ও খবিরকে হত্যার সিন্ধান্ত নেয় এবং তাদেরকেও জবাই করে হত্যা করে।আজ সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বগুড়ার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আশরাফ আলী ভুঞাঁ। ঘটনাস্থলে এসে জুয়েল নিজে আঙ্গুলের ইশারায় দেখি দিল লোমহর্ষক ফোর মার্ডারের বনর্না।
হত্যার এ ঘটনার সাথে অংশ নেয়া অন্য কিলার হলেন আটমুল ইউনিয়নের কাঠগাড়া চকপাড়ার জুয়েল, চন্দনপুর তালুকদার পাড়ার আবুল কালাম আজাদ।