ধুনট উপজেলা

বগুড়ার ধুনটে নাটাবাড়ী দ্বিমুখী বিদ্যালয় মাঠে হাট, সপ্তাহে দুদিন শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

বগুড়ার ধুনটে নাটাবাড়ীতে একটি বিদ্যালয়ের মাঠে বসানো হচ্ছে হাট। হাটের কারণে সপ্তাহে দুদিন আগেভাগে ছুটি দিয়ে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

বগুড়ার ধুনট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোঁসাইবাড়ী ইউনিয়নের নাটাবাড়ী গ্রামে একই স্থানে ১৯১৮ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৯৭২ সালে নাটাবাড়ী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। বর্তমানে মোট শিক্ষার্থী পাঁচ শতাধিক।

বিদ্যালয় দুটির একপাশে আট শতক জায়গা নাটাবাড়ী হাটের নামে প্রতি বছর ইজারা দেয়া হয়। স্কুল প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই এ হাট বসছে। প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে হাটে কেনাবেচা শুরু হয়, চলে রাত পর্যন্ত।

সম্প্রতি হাটবারে গিয়ে দেখা যায়, দুপুর থেকেই দোকানিরা বিদ্যালয়ের মাঠজুড়ে এমনকি শ্রেণীকক্ষের সামনে পর্যন্ত পসরা সাজিয়ে বসেছেন। চলছে হইচই চেঁচামেচি। এতে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। হাটবারের দুদিন খেলাধুলা একদম বন্ধ। ক্রেতা-বিক্রেতার হইচই আর যানবাহনের শব্দে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, এ দুদিনে স্কুল মাঠের অবস্থাও করুণ হয়ে যায়। মাঠজুড়ে আবর্জনা, বিড়ি-সিগারেটের বাকি অংশ পড়ে থাকে। এমন অপরিচ্ছন্ন মাঠেই পরদিন অ্যাসেম্বলি করতে হয়। বিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট প্রধান হাসান রেজা, মনির হোসেন ও আফরোজা খাতুন বলেন, মাঠে হাট এবং মৌসুমে খড় শুকানোর কারণে লেখাধুলা করতে পারি না। হাটের দিন ক্লাস থেকে বের হতে পারি না। হইচইয়ের কারণে ক্লাসে শিক্ষকের কথা শোনা যায় না।

ক্রেতা-বিক্রেতার হইচই-চেঁচামেচির কারণে হাটবারে আগেভাগেই স্কুল ছুটি দিতে হয় বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে এরই মধ্যে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলেও জানান সহপ্রধান শিক্ষক মাহবুবর রহমান।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ধুনট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম জিন্নাহ্ বলেন, বিদ্যালয়ের জায়গায় হাট বসানোর কোনো নিয়ম নেই। বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্কুল মাঠে হাট বসানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button