ভোজন

বগুড়ার ইফতার সামগ্রীতে এখনো সাদা দই শ্রেষ্ঠত্ব দখল করে আছে

ঐতিহ্য হিসেবে দইয়ের প্রচলন বগুড়ায় দীর্ঘকাল থেকে

সারাদিন রোজা পালনের পর সাদা দই দিয়ে তৈরিকৃত ঘোল শরীরে শীতল আমেজ তৈরি হয়। সাদা দইয়ের ঘোল রোজাদারদের তৃপ্তির পরশ। জানা যায়, বগুড়া শহরের স্টেশন রোড, সাতমাথা, কাঁঠালতলা, চেলোপাড়া, নবাববাড়ী রোড, কলোনি, রাজা বাজার এলাকা, ফতেহ আলী বাজার মোড়সহ বিভিন্নস্থানে ইফতার সামগ্রীর জন্য দোকান বসে।

সাধারণ মানের হোটেল রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে উচ্চমানের হোটেলগুলোতেও ইফতার সামগ্রী বিক্রি শুরু হয় দুপুর থেকে। বরাবরের মতো এবারও বগুড়ায় ইফতারিতে প্রধান আকর্ষণ ছিল সাদা দই। সাদা দই ইফতারে কয়েকভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সাদা দইয়ের সঙ্গে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করে ঘোল হিসেবে, শুধু দই প্লেটে করে পরিবেশন, দইয়ের সঙ্গে চিঁড়া, দই মিষ্টি, দইয়ের সঙ্গে খই ও মুড়ি, দই চিকেন রোস্ট, দই আর খাসির গোস্ত দিয়ে কোরমা তৈরিসহ বিভিন্নভাবেই খাবার তৈরি করা হয়।

বগুড়া জেলায় দই থেকে আরও বেশ কিছু খাবার তৈরি হয়ে থাকে। রমজান ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে এই খাবারগুলো তৈরি হয়ে থাকে। তবে রোজাকে সামনে রেখে খাবারগুলোর চাহিদা একটু বেড়ে যায়। দইয়ের পরের স্থানটায় দখল করেছে বিভিন্ন রকমের শরবত, লেবু, চিনির সঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানির শরবতও সমানতালে ব্যবহার হয়ে থাকে।

এরপরের স্থানটি দখল করে আছে হালিম। খাসি বা গরুর হালিম বগুড়ার ইফতার সামগ্রীতে দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিবাটি হালিম বিক্রি হয়ে থাকে ৮০ টাকা করে।

জলেশ্বরীতলা, বিভিন্ন তারকা হোটেল, মোটেল, সাতমাথা, উপশহর, চকযাদু রোড এলাকায় এখন উল্লেখযোগ্যহারে বিক্রি হয় চিকেন গ্রিল, চিকেন দিয়ে তৈরি রোল, রোস্ট, খাসির পায়া, খাসির রান রোস্ট, গরুর কিমা কাবাব, খাসি ও গরুর কাবাব, গরুর চাপ ইত্যাদি। ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে এসব খাবার বিক্রি হচ্ছে।

বগুড়ার শহরের শ্যামলী হোটেলে বুট, বুন্দিয়া, ঝুড়ি বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা কেজি। আকবরিয়া হোটেলে ঝুড়ি ও চিঁড়া ১৬০ টাকা, কার্টলেট প্রতিটি ৩০, হালুয়া ১০, হালিম প্রতিবাটি ৭০, চিকেন রোল ৩০, চিকেন চিলি ৪৫, চিকেন গ্রিল ফুল ৩৯০ আর কোয়াটার বিক্রি করা হচ্ছে ১০০ টাকা করে। খাসির কাবাব প্রতি পিস ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করে। টক দই ১৩০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। সাদা মিষ্টি দই ১৮০ টাকা। আর সাধারণ বা খোলা বাজারে একই ইফতার বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি।

ইফতার ক্রয় করতে আসা ক্রেতারা জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর ইফতার সামগ্রীর মূল্য বেড়েছে কেজিতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ টাকা করে। রোজার আগে দাম বাড়ে আর রোজার শুরুতে দিগুণ দামে কেনা-বেচা হয়। বগুড়া শহরের কয়েকটি নামি হোটেল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, ইফতার সামগ্রী ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button