বগুড়া সদর উপজেলা

বগুড়া সদরে দিনদিন বেড়েই চলেছে পর্নোভিডিও’র রমরমা ব্যাবসা

বগুড়া সদরে সহজলভ্য হয়েছে পর্নোগ্রাফী

বগুড়া সদরে দিনদিন বেড়েই চলেছে পর্নোভিডিও’র রমরমা ব্যাবসা। আর এই আসক্তিতে পড়ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। এতে করে একদিকে যেমন সামাজিক অবক্ষয় ও অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরদিকে শিক্ষার্থীরা হারাচ্ছে তাদের সৃজনশীলতা ও মেধা আর দেশ হারাচ্ছে মেধাবী ভবিষ্যত প্রজন্ম। এই সুযোগে অসাধু কম্পিউটার ব্যবসায়ীরা কালো টাকা আয় করছে অন্যদিকে সামাজিক অবক্ষয়, নারী নির্যাতন, যৌন হয়রানীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বগুড়া সদরের চারমাথা মোর, মাটিডালী বিমান মোড়, বারপুর মোড়, ধরমপুর বাজার, ঝোপগাড়ী মোড়, নওদাপাড়া বন্দর, বাঘোপাড়া বন্দর, ন্যাংড়া বাজার, মরাকাটা বন্দর, ঘোড়াধাপ হাট, মাটিডালি বাজার, বড়কুমিড়া বাজার, কবুর হাট (বিয়ান বাজার), অলির বাজার সহ আরও বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি কম্পিউটারের দোকান রয়েছে। যাদের প্রত্যেকেরই ব্যবসার প্রধান দিক হলো গ্রাহকের মেমোরী কিংবা পেনড্রাইভে বিভিন্ন প্রকার গান, ভিডিও কিংবা ওয়াজ দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া। কিন্তু এটাই তারা ব্যবহার করে হরেক রকম ছদ্ম নাম। যেমনঃ আলিফ লায়লা, বিদেশী ওয়াজ, সাত ভাই চম্পা অন্যতম। যদি নতুন কোন গ্রাহক দোকানে গিয়ে সরাসরি এসব ভিডিও চেয়ে বসে তাহলে চতুর কম্পিউটার ব্যবসায়ী ঐ গ্রাহককে ”নেই” বলে ফিরিয়ে দেয়। আবার নতুন গ্রাহকেরাই যদি ঐসব ছদ্মনাম ব্যবহার করে তাহলে গ্রাহককে খালি হাতে আর ফিরতে হয়না।

আবার অন্যান্য ব্যবসার মত এই ব্যবসাতেও আছে নানা রকম অফার। তার মধ্য ১টি কিনলে ১ টি ফ্রির মত অবস্থা। যদি কেউ ঐ দোকান থেকে যেকোন মেমোরী কেনে তাহলে মেমোরী ভরিয়ে নিতে ঐ গ্রাহককে কোন টাকা দিতে হয়না। তাদের ব্যবসার লাভজনক দিক হলো পর্নোভিডিও সংরক্ষন ও বাজারজাত করা । সবচেয়ে ভয়ংকর দিকটি হলো এই অশ্লীল ভিডিও বাজারজাতের ক্ষেত্রে দেখা হচ্ছেনা গ্রাহকের বয়স কিংবা পেশা। উঠতি যুবক থেকে চল্লিশের উর্ধে ব্যক্তিকেও অবলীলায় দেয়া হচ্ছে এসব। সবচেয়ে বেশী ঝুকে পড়ছে স্কুল- কলেজ পড়ুয়া ও উঠতি বয়সী যুবকেরা।

এব্যাপারে বগুড়া জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট(এডিএম) আলিমুন রাজীব এর সাথে কথা বললে তিনি জানান,“ বগুড়া জেলা প্রশাসন সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিনিয়ত ভ্রামমান আদালত পরিচালনা করে আসছে। মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় পর্নোগ্রাফির উপর অভিযান অবশ্যই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে”। সাধারন সচেতন অভিভাবকরা এব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বগুড়া জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button