গাবতলী উপজেলার মুক্তিযুদ্ধ
সুজাউল মাহমুদ (বগুড়া লাইভ) : বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে সারা দেশের মানুষের পাশাপাশি গাবতলী উপজেলার মানুষ অনন্যা ভূমিকা পালন করেছে।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর গাবতলী থানা ও সিও অফিস এলাকায় পাক বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলি শুরু হয়। আক্রমণে পাক সেনারা থানা এলাকা ছেড়ে দক্ষিণ দিকে পালিয়ে যেতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধারাও হাল না ছেড়ে তাদের পিছু ধাওয়া করতে থাকে। এক পর্যায়ে পাক সেনারা ক্ষিদ্রপেরী নামক গ্রামের এক জঙ্গলে আত্মগোপন করে। মুক্তিযোদ্ধারা খবর পেয়ে তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং প্রচণ্ড গুলি বর্ষণ করে।
গাবতলী থানা থেকে পালিয়ে আসা সাতজন পাক সেনা সেখানে নিহত হয় বাকিরা পালিয়ে যায়। ঐ দিনই গাবতলী উপজেলা মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করা হয়। চারিদিকে আনন্দের বাতাস বইতে থাকে। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই সেদিন রাস্তায় নেমে বিজয় উল্লাস করতে থাকে।
গাবতলী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাঃ
১৯৭১ সালে গাবতলী উপজেলার ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। আর এ পর্যন্ত ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে মারা যান। শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন-
শহীদ হাবিলদার মো: কামরুজ্জামান খলিফা (বীর বিক্রম)
শহীদ ওসমান গনি
শহীদ কাজী আবদুল মান্নান
শহীদ টিটু
শহীদ জাহেদুর রহমান বাদল
শহীদ আবদুস সাত্তার
শহীদ আবদুল হামীদ
শহীদ কমর উদ্দিন
শহীদ মাসুদ রহমান
শহীদ আব্দুল মান্নান
এক নজরে গাবতলী উপজেলায় মোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৩৬৫ জন। বর্তমানে ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৩৫৫ জন।