বগুড়ার চিকন সেমাই দেশে এবং বিদেশে ঈদের ‘গিফটের’ খাতায় নাম লিখেছে
জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের বগুড়ার পরিচিতি ‘ল্যান্ড অব পুন্ড্র সিভিলাইজেশন’। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ঐতিহ্যের দইয়ের পাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বগুড়ার চিকন সেমাই। নিকট অতীতে যে সেমাইয়ের কদর ছিল স্বল্প রোজগেরে মানুষের কাছে সেই চিকন সেমাই এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশ বিভূঁইয়ের গর্বিত পরিচয়ে পৌঁছেছে। চিকন সেমাই এখন গ্রামের হাট বাজার থেকে নগরীর শপিংমল হয়ে রাজধানীর পাঁচ তারকাখচিত হোটেলে মেলে। নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সকলের ঘরে বগুড়ার চিকন সেমাই সমান জনপ্রিয়। গেল ক’বছর ধরে এই চিকন সেমাই ঈদের ‘গিফটের’ খাতায় নাম লিখিয়েছে।
চাহিদার প্রয়োজনে ঈদের প্রায় দুই মাস আগে চিকন সেমাই তৈরির হিড়িক পড়ে। বগুড়ার প্রতিটি এলাকায় ‘সেমাই পল্লী’ গড়ে উঠেছে। শহরতলির সাবগ্রাম, বেজোড়া, শ্যাওলাগাতি, কালিসামাটি, ফুলবাড়ি, ফুলতলা এলাকায় শ্রমিকরা সেহরির পর কাজ শুরু করে।
একটানা কাজ চলে বিকাল পর্যন্ত। প্রতিটি ছোট কারখানায় প্রতিদিন গড়ে ৫শ’ কেজি করে সেমাই তৈরি হয়। প্রতিদিনের উৎপাদন ৬০ থেকে ৮০ টন (৬০ থেকে ৮০ হাজার কেজি)। প্রতি কেজি সেমাই খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭৫ টাকা দরে।