পরিবহন

বগুড়ায় যানজটে প্রতিদিন শহরবাসীর ২০০ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে

রেলক্রসিংয়ে অপচয় ৮ ঘণ্টা

রেলস্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ১৬টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করছে। এর মধ্যে আন্তনগর ট্রেন রয়েছে ছয়টি। বগুড়ার বিভিন্ন স্থানে ২৮টি অনুমোদিত রেলক্রসিং অতিক্রম করে এসব ট্রেন। এ কারণে রেলওয়ের ক্রসিংগুলো প্রতিদিন গড়ে ২৫ বার বন্ধ করতে হয়। একেকবার একটি গেট খুলতে ও বন্ধ করতে কমপক্ষে ১০ মিনিট সময় লাগে। আর একেকটি ট্রেনের রেলক্রসিং অতিক্রমে সময় লাগে অন্তত আরো পাঁচ মিনিট। সব মিলিয়ে একটি ট্রেন চলাচলের জন্য একটি ক্রসিংয়েই প্রতিবার ১৮-২০ মিনিট যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। সে হিসাবে প্রতিদিন একটি রেলক্রসিংয়েই অপচয় হয় প্রায় আট ঘণ্টা। প্রতিবার ক্রসিংয়ে আটকা পড়ে গড়ে ৫০০ যানবাহন।

সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার ১১টা ২০ মিনিটে শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঝাউতলা রেলক্রসিংয়ে সতর্কঘণ্টা বাজছে। দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা দোলনচাঁপা মেইল ট্রেনটি সান্তাহারের উদ্দেশে বগুড়া স্টেশন অতিক্রম করবে। গেটম্যানরা দ্রুত বার ফেলে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ঝাউতলা, বড়গোলা, দত্তবাড়ি সড়কে চলাচলরত গাড়ি, রিকশা, মোটরসাইকেল একে একে থামতে শুরু করল। এরপর দীর্ঘ অপেক্ষা। নির্ধারিত ১১টা ২৯ মিনিটের ট্রেন ২ নম্বর ক্রসিং পার হলো ১১টা ৪৬ মিনিটে। অর্থাৎ টানা ১৭ মিনিট সবাইকে গাড়ি নিয়ে সেখানে অপেক্ষা করতে হলো।

রেলওয়ের তথ্য মতে, শহরের অভ্যন্তরে রেললাইনের আওতায় রয়েছে রেলওয়ে হকার্স মার্কেট, শাপলা সুপারমার্কেট, রেলওয়ে কড়িতলা মার্কেট, আল-আমিন আয়রন মার্কেট, জিয়া সিগন্যাল মার্কেট, ৩ নম্বর কাঁচাবাজার মার্কেট, রেলওয়ে ধোলাইখাল মার্কেট ইত্যাদি। প্রতিদিন এসব মার্কেটে অন্তত ১০ হাজার মানুষ কেনাকাটা করতে আসে। তাদের কারণেও সড়কে যানজট বাড়ছে।

এদিকে একটি বেসরকারি সংস্থার তথ্য মতে, বগুড়ায় যানজটে প্রতিদিন শহরবাসীর ২০০ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। ফলে বছরে ক্ষতি হচ্ছে ৩০০ কোটি টাকা। যানজট কমাতে বগুড়া পুলিশের বিভিন্ন পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ নেই। শহরের বেশির ভাগ ফুটপাত দখল হয়ে গেছে। অনেক সময় দোকান মালিকরা তাঁদের পণ্য পরিদর্শনের জন্য সড়কের একটি অংশ ব্যবহার করছেন। তা ছাড়া শহরের প্রধান সড়কজুড়ে ফুটপাত দখল করে সুউচ্চ ভবন তৈরির কাজে ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রী রাখছেন কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। ফলে ঠিকভাবে যান চলাচল করতে পারছে না।

_লিমন বাসার

এই বিভাগের অন্য খবর

এছাড়াও দেখুন
Close
Back to top button