ছবিঘর

বগুড়া জেলা’সহ বিভিন্ন উপজেলায় ফুটেছে অপরুপ সৌন্দর্য্যের “সোনালু ফুল”

বগুড়া জেলা’সহ বিভিন্ন উপজেলা ও গাবতলীতে শতশত সবুজ গাছে যেন হলুদ রঙ্গের সোনালু ফুল ফুটেছে। এ ফুলের অপরুপ সৌন্দর্য্য, সৌরভ ও শোভা এখন আর চোখেই পড়ে না। পাখির কোলাহল ও ফুলের গন্ধে যেন মনজুড়িয়ে যায়। কালের বিবর্তনে সেই চিরচেনা সোনালু ফুল গাছ এখন বিলুপ্তির পথে।

অপরুপ শোভা দানকারী সোনালু ফুল বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে ফুটে। এলাকাভিক্তিক ফুলটির নাম ভিন্ন ভিন্ন। কোথাও সোনালু, কোথাও স্বানালী, বান্দর লাঠি, কর্ণিকা, অলানু, সোঁদাল। আবার কোথাও স্বনালী ফুল গাছ বলে পরিচিত। এপ্রিল-মে ও জুন মাসে সোনালু গাছটি থেকে লম্বা ছড়া বের হয়। সে ছড়া’য় সুন্দর হলুদ রংঙ্গের ফুল ফুটে। ফুল থেকে লম্বা শুটি হয়।

সোনালু গাছের ফুল, লতা, পাতা, বীজ ও মূল ঔষধী কাজে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও সোনালু ফুল গাছের শিকড় ও গাছের ছাল দিয়ে মানবদেহের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ন ঔষধ তৈরী কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। সে ঔষধে মানবদেহের অনেক উপকার হয়। এছাড়াও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে কৃষক।

এ ফুল গাছটি বিলুপ্তির পথে চলে যাওয়ার ফলে গাছ ও ঔষধ তৈরীতে সংকট দেখা দিয়েছে। অল্পসংখ্যক সোনালু ফুল গাছ চোখে পড়লেও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বেড়েছে কয়েকগুন। এ গাছের এতগুন থাকার পরেও গাছটি সংরক্ষন ও রক্ষায় কোন উদ্যোগ নেই। পথচারি’রা কাগইল এলাকায় সোনালু ফুল গাছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখতে গাছতলায় ছুটে আসেন। পাখি ও ফুল দেখে মনটা ভাল থাকে।

গাবতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহেল মোঃ শামসুদ্দীন ফিরোজ বিসিএস (কৃষি) জানান, সোনালু গাছ ফুল গুরুত্বপূর্ন। গাছটি মানুষের জন্য উপকারী। ব্যক্তিপর্য়াযে সোনালু ফুল গাছ সংরক্ষণ প্রয়োজন রয়েছে।

_আল আমিন মন্ডল

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button
A palavra '' foi encontrada no array.